শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰন্থ পারিনে। লেখার দোষে কোথাও বমি অপরাধ হয়ে থাকে মার্জন করবেন। ইতি -२७७ कांख्न, Y७७8 সেবক ঐশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপরোক্ত পত্রটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে লিখিত। ১৯২৭ খ্ৰীষ্টাধে দেনা-পাওনার নাট্যরূপ ষোড়শী’ প্রকাশিত হইলে এবং শরৎচন্দ্র এই বইখানি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মতামত জানিতে চাহিলে রবীন্দ্রনাথ ধাহা লিখিয়াছিলেন, ইহা তাহারই উত্তর । রবীন্দ্রনাথের পত্রটিও নিম্নে উদ্ধত হইল । ] কল্যাণীয়েযু—তোমার ষোড়শী পেয়েছি। বাংলা সাহিত্যে নাটকের মত নাটক নেই। আমার যদি নাটক লেখবার শক্তি থাকত তা হলে চেষ্টা করতুম, কেন না, নাটক সাহিত্যের একটা শ্রেষ্ঠ অঙ্গ । আমার বিশ্বাস, তোমার নাটক লেখবার শক্তি আছে । ভিতরের প্রকৃতি আর বাইরের আকৃতি এই দুইটি যখন সত্যভাবে মেলে তখনি চরিত্র-চিত্র খাটি হয়—আমার বিশ্বাস তোমার কলম ঠিকভাবে চললে এই রূপের সঙ্গে ভাব মিলিয়ে তুলতে পারে, কেন না, তোমার দেখবার দৃষ্টি আছে, ভাববার মন আছে, তার উপরে এ দেশের লোকযাত্রা সম্বন্ধে তোমার অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র প্রশস্তি। তুমি যদি উপস্থিত কালের দাবী ও ভিড়ের লোকের অভিরুচিকে না ভুলতে পারে, তা হলে তোমার এই শক্তি বাধা পাবে। সকল বড় সাহিত্যের ষে পরিপ্রেক্ষিত (perspective) সেটা দূরব্যাপী, সেইটির সঙ্গে পরিমাণ রক্ষা করতে পারলে তবেই সাহিত্য টিকে যায়--কাছের লোকের কলরব যখন দেয়াল হয়ে সঙ্কীর্ণ পরিবেষ্টনে তাকে অবরুদ্ধ করে, তখন সে খৰ্ব্ব হয়ে অসত্য হয়ে যায়। ষোড়শীতে তুমি উপস্থিত কালকে খুশী করতে চেয়েচ, এবং তার দামও পেয়েচ। কিন্তু নিজের শক্তির গৌরবকে ক্ষুণ্ণ করেচ । যে যোড়শীকে একেচ সে এখনকার কালের ফরমাসের, মনগড়া জিনিস, সে অস্তরে বাহিরে সত্য নয় । আমি বলিনে ষে এই রকম ভাবের ভৈরবী হতে পারে না,—কিন্তু হতে গেলে যে ভাষা ষে কাঠামোর মধ্যে তার সঙ্গতি হতে পারত, সে এখনকার দিনের খবরের কাগজ-পড়া চেহারার মধ্যে নয় । যে কাহিনীর মধ্যে আমাদের পাড়াগাম্বের সত্যকার ভৈরবী আত্মপ্রকাশ করতে পারত সে এই কাহিনী নয় । স্বাক্টকৰ্ত্তারূপে eள்,