পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नेज्ज-#ईअबं (>) কল্যাণীয়েস্থ,—লক্ষ্য করিয়া আসিতেছি দেশের সাপ্তাহিক পত্রগুলি ক্রমশঃ জশের উংস্থক ও উৎকণ্ঠ দৃষ্ট লাভ করিতেছে। পূৰ্ব্বেকার উপেক্ষ অবহেলার ভার আর নাই। অর্থাৎ মানুষের নিত্যকার প্রয়োজনে এইগুলির প্রয়োজনীয়তাও মাছৰে এখন উপলব্ধি করিতেছে। আনন্দের কথা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠার আসনটি কেবলমাত্র দখল করিয়া রাখিলে চলিবে না, কাজের মধ্য দিয়। স্বকীয় মধ্যাদা প্রতিদিন প্রমাণিত করিতে হইবে ; নিরস্তর মনে রাখিতে হইবে তোমার কৰ্ম্মশীলতা সাধারণের সৌভাগ্য ও কল্যাণ সমৃদ্ধ করিতেছে । আর কোন পন্থায় নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখিয়া চলা কাগজের পক্ষে শুধু ব্যর্থতা নয়, বিড়ম্বন । কাগজ পরিচালনার কাজ কেবলমাত্র দায়িত্বপূর্ণই নয়, নানাভাবে বিয়গম্বুল। বিবিধ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হইতে হয়। অধিকাংশই সাময়িক নিঃসন্দেহ, তথাপি ংষম ও সহিষ্ণুতার অত্যন্ত প্রয়োজন । জানি নির্ভীক আলোচনা সাপ্তাহিকের প্রাণ, কৰ্ত্তব্যবিমুখত অপরাধ, তবু বলি তার চেয়েও মহার্ঘ তোমার আপন চরিত্র ও মর্ধ্যাদা । ইতি—৭ই শ্রাবণ, ১৩৪২ শুভাকাঙ্ক্ষী—ঐশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (R) কল্যাণীয়েয়ু,—‘বাভায়নে’র প্রত্যেকটি সংখ্যাই আমি মনোযোগের সঙ্গে পড়েচি, আলস্ত বা উপেক্ষায় কোনদিন দূরে ঠেলে রাখিনি। সকল বিষয়েই ষে একমত হতে পেরেছি তা নয়, এর সমালোচনার ভাষা মাঝে মাঝে কঠোর ও সুতীক্ষু ঠেকেছে, কিন্তু অকারণ বিদ্বেষ বা ব্যক্তিগত ঈর্ষার আক্রমণে কোন আলোচনাই কোনদিন কলঙ্কিত হতে দেখেছি বলে আমার মনে পড়ে না । এটা জানঙ্গের কথা । কিন্তু যদি কখনো এমন ঘটেও থাকে, যা আমার চোখে পড়েনি, তার সম্বন্ধে এই কথাই আজি বলবো ধে, বা হয়ে গেছে সে যাক, কিন্তু নূতন বৎসরের প্রারম্ভে তোমাদের সর্বদাই মনে রাখা চাই যে, লেখার অসহিষ্ণুতা ৰণি-বা সহ যায়, কুরতা, নীচতা, অসত্য অপবাদে মাহবকে হীন প্রতিপন্ন করবার প্রয়াস দীর্ঘদিন পাঠক-সমাজ সইতে পারেন না, তাদের চোখে ধীরে ধীরে লেখক আপনিই হয়ে আসে ছোট, তার স্বরূপ ধরা পড়ে। তখন কাগজের মৰ্যাল হয় নষ্ট, উক্ষেপ্ত হয় শিখিল, আলোচনা হয় নিফল পণ্ডশ্রম –সৰ্ব্বপ্রকারেই তার কল্যাণের தேடு > ex-82