শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ শেখানোর পদ্ধতি।.....অস্তৃত ধৈর্ধ্যের সঙ্গে শিশির শেষের লক্ষ্যটায় লেগে থাকতে পারে। তারই বাছাছুরি । আমার লেখা ‘সাহিত্যের রীতি-নীতি' পড়ে তুমি ক্ষুন্ন হয়েছে লিখেচে । তোমার মনে হয়েছে যে রবিবাবুকে আমি অযথা কটুক্তি করেছি। কিন্তু কোৰা ষে শ্লেষ অথবা বিদ্রুপ আছে লেখাট আরও একবার পড়েও ত আমি খুঁজে পেলাম না। তাকে আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধাভক্তি করি - আমার গুরুস্থানীয় তিনি, এ ত ভূমি জানোই । তবে হয়ত লেখার দোষে যা বলতে চেয়েছি বলতে পারিনি—আর এক রকমের অর্থ হয়ে গেছে । দোষ যদি কিছু হয়েও থাকে সে আমার অক্ষমতার, चांभांग्न अस्छुद्रध्न मन्त्र ! * * তোমরা একটা কথা তেমন জানো না ষে আমার ভাষার ওপরে অধিকার সত্যিই কম । বিনয়ের জন্তে বলছিনে, তোমার মত আত্মীয়ার কাছে মিছে বিনয় করে লাভ কি বল ত ? তবুও বলচি এ কথা আমার যথার্থ-ই মনের কথা। ভাষার উপরে দখল এতই অল্প যে ছ'ছত্র কবিতা পৰ্য্য মেলাতে পারিনে,—কথা খুঁজে পাইনে। তাই ষে কেউ যেমন তেমন কবিতা লিখলেও বিস্মিত হয়ে যাই । এই কারণেই বলতে চাইলাম এক, আর হয়ে গেল অন্ত । তোমরা দু:খিত হয়ে ভেবে নিলে— জাল বুড়ো মানুষ হয়েও আর এক বুড়োকে আক্রমণ করেছে। সে যাই হোক, নবীন লেখকদের প্রতি আমার আস্তরিক স্নেহ এবং টান আছে। তাদের তুলচুক হয় জানি, কিন্তু তাই বলে তাদের লোকসমাজে অপ্রদ্ধের প্রতিপন্ন করলে আমার অত্যন্ত ব্যথা লাগে । তা ছাড়া কত বড় অন্যায় অপবাদ তাদের দেওয়া হয়, যখন ইঙ্গিত করা হয় এর গরীব বলেই এই সব নোঙর ব্যাপার ঘাটাৰাটি করে অর্থ রোজগার করতে চায় । আমি ভাল করেই জানি বিরুদ্ধদলের লোকেরা এই রকমই কথা বলে বেড়ায়। কোনদিন যদি তোমার বড়দাকে ভাল করে জানতে পারে ত বুঝবে—বিদ্বেষ বলে জিনিসটা তার মধ্যে নেই বললেও অতিশয়োক্তি হবে না। একটা কথা তোমাকে জানাই, কারুকে বোলো না । ‘পথের দাবী যখন বাজেয়াপ্ত হয়ে গেল তখন রবিবাবুকে গিয়ে বলি যে আপনি যদি একটা প্রতিবাদ করেন ত একটা কাজ হয় ধে পৃথিবীর লোকে জানতে পারে ষে গভন'মেণ্ট কি রকম সাহিত্যের প্রতি অবিচার করেছে । অবশু বই আমার সঞ্জীবিত হবে না । ইংরাজ সে পাত্রেই নয় । তৰু সংসারের লোকে খবরটা পাবে। তাকে বই দিয়ে আসি । তিনি জবাবে জামাকে লেখেন—“পৃথিবী ঘুরে ঘুরে দেখলাম ইংরাজ রাজশক্তির মত সহিষ্ণু এবং
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৯৮
অবয়ব