পত্র-সংকলন ক্ষমাশীল রাজশক্তি আর নেই। তোমার বই পড়লে পাঠকের মন ইংরাজ গভর্ণমেন্টের প্রতি অপ্রসন্ন হয়ে ওঠে । তোমার বই চাপ দিয়ে তোমাকে কিছু না বলা, তোমাকে প্রায় ক্ষমা করা । এই ক্ষমার উপর নির্ভর করে গভর্নমেন্টকে স্বা’ তা’ নিন্দাবাদ করা সাহসের বিড়ম্বন ৷” ভাবতে পারে। বিনা অপরাধে কেউ কাউকে এত বড় কটক্তি করতে পারে ? এ চিঠি তিনি ছাপাবার জন্তেই দিয়েছিলেন, কিন্তু আমি ছাপাতে পারিনে এই জন্তে ষে কবির এত বড় সার্টিফিকেট তথুনি স্টেটসম্যান প্রভৃতি ইংরাজী কাগজওয়ালার পুথিবীময় তার করে দেবে। এবং এই যে আমাদের দেশের ছেলেদের বিনা-বিচারে জেলে বদ্ধ করে রেখেচে এবং এই নিয়ে ষত আন্দোলন হচ্ছে সমস্ত নিস্ফল হয়ে যাবে। ঠিক বলতে পারিনে হয়ত এই কথা আমার মনের মধ্যে অলক্ষ্যে ছিল যখন সাহিত্যের রীতি-নীতি লিখি। তাতেই বোধহয় কোথাও কোন জায়গায় একটু-আধটু তীব্রতার ঝাঝ এসে গেছে। যাই হোক যা হয়ে গেছে তার আর উপায় কি ভাই ?... हेष्ठि-४०हे श्रट्झेiयब्र, sञ२१ - বড়দাদা সামভাবেড় (*) পরম কল্যাণীয়ামু, রাধু, তোমার আগেকার চিঠি যথাসময়েই পেয়েছিলাম এবং নূতন বছরের আরম্ভে ষে আশীৰ্ব্বাদ চেয়েছিলে, তা মনে মনে দিতে কোন কৃপণতা করিনি, শুধু প্রকাণ্ডে জানানোট ঘটে ওঠেনি ভাই । ‘এই কালই জবাব দেবো” এই একট। প্রতিজ্ঞ প্রত্যহ সকালে উঠেই করেচি এবং করতে করতে মাস-দেড়েক কেটে গেলো। এমনি স্বভাৰ । অথচ তোমাদের আজও এ জ্ঞান জন্মালো না ষে ভাবো— "দাদাটি তোমাদেয় স্বর্গে গেছেন- আর তাকে স্মরণ করাই বা কেন, আর তার আশীৰ্ব্বাদ চাওয়াই বা কিসের জন্তে ।” আর কদিনই বা বাকী আছে বোন— একটু আগে থেকেই না হয় ভাবলে। কি এমন ক্ষতি ? অারও তো কেউ কেউ এইটাই স্বীকার করে নিয়ে একেবারে নিরুদ্দেশের আড়ালে মিলিয়ে গেছেন। তোমরা পারো না ? একটা কথা লিখেচে দেখলাম ৰে-কমলের স্রষ্টা রমার স্রষ্টা তো নয় ৰে— ইভ্যাদি । তার মানে ষে রমার স্রষ্টাই তোমাদের বুঝতেন—তোমাকে আদর করতে vapp
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৯৯
অবয়ব