পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোড়শী

 জনার্দ্দন। (আত্মবিশ্বত হইয়া সগর্জ্জনে) হতেই হবে। আমি বলচি হতে হবে।

 ষোড়শী। (জীবানন্দকে) ঝগড়া করতে আমার ঘৃণা বোধ হয়। তবে ও-সব করবার এখন সুযোগ হবে না, এই কথাটা আপনার অনুচরদের বুঝিয়ে বলে দেবেন। আমার সময় অল্প; আপনাদের কাজ মিটে থাকে ত আমি চললাম।

 জীবানন্দ। (তপ্ত-স্বরে) কিন্তু আমি হকম দিয়ে যাচ্ছি, আজই এ-সব হতে হবে এবং হওয়াও চাই।

 ষোড়শী। জোর করে?

 জীবানন্দ। হাঁ, জোর করে।

 ষোড়শী। সুবিধে-অসুবিধে যাই-ই হোক?

 জীবানন্দ। হাঁ, সুবিধে-অসুবিধে যাই-ই হোক।

 ষোড়শী। (পিছনে চাহিয়া ভীড়ের মধ্যে সাগরকে অঙ্গুলি-সঙ্কেতে আহবান করিয়া) সাগর, তোদের সমস্ত ঠিক আছে?

 সাগর। (সবিনয়ে) আছে মা, তোমার আশীর্ব্বাদে অভাব কিছুই নেই।

 ষোড়শী। বেশ। জমিদারের লোক আজ একটা হাঙ্গমা বাধাতে চায়, কিন্তু আমি ত চাইনে। এই গাজনের সময়টায় রক্তপাত হয় আমার ইচ্ছে নয়, কিন্তু দরকার হলে করতেই হবে। এই লোকগুলোকে তোরা দেখে রাখ, এদের কেউ যেন আমার মন্দিরের ত্রিসীমানায় না আসতে পারে। হঠাৎ মারিসনে—শুধু বার করে দিবি।

[ প্রস্থান ]
৪১