ষোড়শী ষোড়শী। অত্যন্ত অনাবগুক কৌতুহল চৌধুরীমশায়। জীবানন্দ । তাই বটে, অলকা তাই বটে। আজ আমার আবশুক অনাবশ্বক তোমাকে বোঝাব আমি কি দিয়ে ! [ বাহিরে পূজারীর কাশি ও পায়ের শব্দ শুনা গেল। অতঃপর তিনি প্রবেশ করিলেন ] পূজারী। মা, সকলের সম্মুখে মন্দিরের চাৰিটা আমি তারাদাস ঠাকুরের হাতেই দিলাম। রায়মশায়, শিরোমণি–এর উপস্থিত ছিলেন। ষোড়শী। ঠিকই হয়েছে। তুমি একটু দাড়াও, আমি সাগরের ওখানে একবার যাব । জীবানন্দ। এগুলোও তা হলে তুমি রায়মশায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে। ষোড়শী। না, সিন্দুকের চাবি আর কারও হাতে দিয়ে আমার বিশ্বাস হবে না। জীবানন্দ। তবে কি বিশ্বাস হবে শুধু আমাকেই ? [ ষোড়শী কোন উত্তর না দিয়া জীবানন্দের পায়ের কাছে গড় হইয়া প্রণাম করিল। উঠিয়া দাড়াইয়া বিস্ময়ে অভিভূত পূজারীকে কহিল ] ষোড়শী । চল বাবা, আর দেরি ক’রো না । পূজারী। চল, মা চল । [ পূজারী ও ষোড়শী প্রস্থান করিলে একাকী জীবানন্দ সেই জনহীন কুটীর অঙ্গনে স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল । ] $s:
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৭৯
অবয়ব