পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ প্রাণী । খরচই বা কি, কাজই বা কি ? ইচ্ছে করেই তাই রেণু রাধুনি রাখেনি। সংসারে অনটন তো কিছুই দেখলাম না। সবিতা পঞ্জিকার একটি পাতার কোন মুড়িয়া চিহ্ন রাখিয়া বইখানি বন্ধ করিলেন। সারদার মুখের পানে পূর্ণদৃষ্টিতে চাহিয়া মৃদুহান্তে বলিলেন, তা যেন ওদের নী-ই রইল। কিন্তু তুমি জিনিসের ধামাটা কোথায় লুকিয়ে রেখে এলে সারদা ? সারদা খতমত খাইয়া গেল। বিস্ফারিত-দৃষ্টিতে লক্ষ্য করিয়া দেখিল সবিতার মুখে বেদনার চিহ্নমাত্র নাই। বরং ঠোটের প্রান্তে চাপা হাসির রেখা। সবিতা বলিলেন, তুমি বুঝি এই ভেবে ভয় পেয়েচো সারদা যে, জিনিস ফেরত এসেচে শুনে তোমাদের মা দুঃখে ক্ষোভে শয্যাশায়ী হয়ে পড়বেন, নয় ? সারদা লজ্জিত হইয়া বলিল, না তা ঠিক ভাবিনি। তবে—হয়তো মনে খুবই আঘাত পাবেন ভয় হয়েছিল। সবিতা সক্ষেহে সারদার পিঠে মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিলেন, বোকা মেয়ে তোমার মতন করে মায়ের হৃদয়টার দিকেই কেবলমাত্র তাকিয়ে মাকে ভালবাসতে সবাই কি শিখেচে । এ নিয়ে তো রেণুর উপরে রাগ করতে পারিনে মা, তার দোষ নেই কিছু। সে কথা আর আপনাকে বলতে হবে না। রেণু যে আপনারই মেয়ে, আজ যেন তা সবচেয়ে স্পষ্ট করে দেখে এলাম মা । সবিতা সে কথা এড়াইয়া গিয়া সহজ স্বরে কহিলেন, কি বলে তোমায় ফেরালে সে श्रांछ ? সারদা আহুপুৰ্ব্বিক বিবরণ জানাইয়া শেষে বলিল, আচ্ছা মা, একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আপনি কি ফেরত আসবে জেনেই জিনিস পাঠিয়েছিলেন ? সবিতা মাথা নাড়িয়া ইঙ্গিতে জানাইলেন, না । তার পর জিজ্ঞাসা করিলেন, সারদা ঠিক করে বলে তো মা, সত্যিই কি ওদের কোনও অভাব-অনটন নেই দেখে এলে ? ভিতরের কথা কি করে জানবো মা ? দেখে কি মনে হ’লে ? সারদা নতশিরে নিরুত্তর রহিল । সবিতা আর প্রশ্ন করিলেন না। র্তাহার প্রশাস্ত মুখমণ্ডলে চিস্তার কালো ছায়া श्नाहेच्चा फेशि । কিছুক্ষণ পৱে সবিতা প্রশ্ন করিলেন, আজ যখন তুমি গেলে, সে তখন কি করছিলো ? উলের টুপি বুনছিলো। 3 & а