পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंब्र९-नांश्छि7-ज९७थइ হয়তো বা এইজন্যই তোমার অন্তরের সাথে আমার অন্তরঙ্গতা যা সম্ভবপর ছিল না, তা সম্ভব শুধু নয়, সহজও হয়েচে । সবিতা নত-নেত্রে নীরবে শুনিতেছিলেন। এখনও অবনত নয়নে মৌন রহিলেন। বিমলবাবু ধীর-কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, আজ আমার কাছে জীবনের অর্থ গেছে বদলে । মনের পুরনো ধারণাগুলির উপর থেকে বহুদিনের সঞ্চিত পুরু ধুলো নিঃশেষে যাচ্ছে মূছে। দীর্ঘকাল উপেক্ষায় পড়ে থাকা আয়নার উপরে জমাট ময়লা তার ষে স্বচ্ছতাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল, সে যেন আজ কোন নব-গৃহলক্ষ্মীর সধত্বমার্জনায় একেবারে নির্শ্বল হয়ে উঠেচে । সমস্ত পৃথিবী আমার কাছে অভিনব ঠেকচে আজ। এ যৌবনের উদাম হৃদয়াবেগ নয়, দেহের শিরায় শিরায় তরুণ রক্তের চঞ্চল-নৃত্য নয়। এ আমার হিমকঠিন অন্তরলোকে মূচ্ছিত আত্মার জাগরণ, হৃদয়ের কুয়াসাচ্ছন্ন আকাশে নবচেতনার প্রথম সূর্য্যোদয় । স্বভাবতঃ স্বয়ভাষী বিমলবাবু যে এমন করিয়া আপন অস্তরের গভীর অনুভূতিগুলিকে ভাষায় প্রকাশ করিতে পারেন, সবিতার কল্পনাও ছিল না। সংসারে বুঝি সব-কিছুই সম্ভব। তাই অত্যন্ত ধীরে, প্রায় অস্পষ্ট স্বগতোক্তির মতোই সবিতা বলিতে লাগিলেন, এ তো তোমার নিজের মনের রচনা করা—আমি । ওর সঙ্গে সত্যিকার আমার মিল কতটুকু, সে সন্ধান তুমিও জানো না, আমিও জানিনে। নাই থাক্ সে জানাজানি, ভগবান করুন, তুমি যে-আমাকে দেখেচো সে যেন তোমার কাছে मिथTीं मां श्म्न । १8 বিমলবাবু যখন রাখালের খোজ করিতেছিলেন, সে তখন কলিকাতার বাহিরে। রেণু ও ব্রজবাবুকে বৃন্দাবন পৌছাইয়া দিতে গিয়াছে। ফিরিয়া আসিয়া বিমলবাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিলে বিমলবাবু অভিযোগ করিলেন, একটা দিন অপেক্ষা করলেই আমার সঙ্গে ব্ৰজবাবুর দেখা হতো। তুমি কেন তার ব্যবস্থা করলে না রাজু ? তোমাকে তো আমি চিঠি লিখেছিলাম। ওর যে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়াবেন বলেই তাড়াতাড়ি করে চলে গেলেন। তার কারণ ? ot তা জানি না। তবে কাকাবাবুর চেয়ে রেণুই বেশি ব্যস্ত হয়েছিল। বুঝেচি । ২৩২