পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*द्भ९-जांश्ठि7-ज९áझ ব্ৰজবাবুর দুই চক্ষু ছাপিয়া অশ্র গড়াইয়া পড়িতে লাগিল । বিহলঙ্কণ্ঠে কহিলেন, নতুন-বে, এ মদের নেশা যেন স্নার না ছোটে এই কামনাই ক'রো । সবিতা কঠিনকণ্ঠে কহিলেন, তোমার মেয়ে ? আমার রেণু ? কে আমার মেয়ে ? আর আমিত্ত্বের মোহ রেখো না নতুন-বে। সমস্তই छूह ठूह । ‘भायाब्र' बाण किङ्कई बाहे । ग३ ७कयाज ‘आशि' बजनकन শ্ৰীকৃষ্ণই এখানে সব। রেণুকে তারই চরণে অর্পণ করেচি। যতদিন ওকে নিজের বলে ভেবেচি, ভাবনায় হয়ে পড়েচি দিশেহারা। এবার দিন-দুনিয়ার মালিক যিনি, তার হাতে তোমার রেণুকে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েচি। তিনি যে ব্যবস্থা করবেন, কারো সাধ্য নেই তা রদ করবার। ধরে না কেন আমাদের কথাই। মানুষের ব্যবস্থা, মানুষের ইচ্ছা, মানুষের মালিকানা খাটলো কি ? আড়াল থেকে সেই পরম রসিক হেসে যেদিকে অঙ্গুলি হেলালেন, সেইদিকেই উন্টে গেল পাশা। পুতুলবাজীর পুতুল আমরা, নিজেদের কোনও ইচ্ছাই মানুষের খাটতে পারে না, একমাত্র তার ইচ্ছা ছাড়া । সবিতা কি যেন জবাব দিতে যাইতেছিল, কে ডাকিল, বাবাকণ্ঠস্বরে চমকিত হইয়া সবিতা পিছন ফিরিয়া দেখিলেন,—রেণু শীর্ণ মুখ, কক্ষ কেশ, চেহারায় দারিদ্রের রূক্ষতা সুস্পষ্ট। পরণে একখানি আধময়লা ছাপা বৃন্দাবনী শাড়ি, তারও কণ্ঠে তুলসীর কণ্ঠ-ললাটে ও নাসিকাগ্রে চন্দন-তিলক । সবিতা স্তম্ভিত দৃষ্টিতে কস্তার পানে চাহিয়া নিথর হইয়া গেলেন। রেণু সবিতার দিকে না তাকাইয়া ডাকিল, বাবা, ঘরে চলো, রাত হয়ে যাচ্ছে। ব্ৰজবাবু একটু অপ্রস্তুত হইয়া বলিলেন, তোর মাকে চিনতে পারলিনে রেণু ? মাথা হেলাইয়া রেণু বলিল, দেখেচি। মন্দিরে তো প্ৰণাম করতে নেই। " মায়ের মুখের পানে একবার শাস্ত নির্লিপ্ত দৃষ্টিপাত করিয়া আবার ব্রজবাবুর দিকে ফিরিয়া বলিল, চলে বাবা । একদশীর উপবাস করে রয়েচো সারাদিন, কখন একটু প্রসাদ পাবে ? কঙ্কার আকৃতি দেখিয়া সবিতার অন্তরে ষে আৰ্ত্তক্ৰন্দন গুমরিয়া উঠিতেছিল, কস্তার কথাবাৰ্ত্তার ভঙ্গিতে তাহ ষেন আরও উদ্বেল হইয়া উঠিল । মাতার প্রতি কস্তার এই পরের মত আচরণে ব্ৰজবাৰু মনে মনে কুষ্ঠিত হইয়া পড়িতেছিলেন। হয়তো বা সেইজন্যই সবিতাকে উদ্বেগু করিয়া বলিলেন, নতুন-বে। গোবিন্দর কুটীরে একদিন তোমরা সেবা করতে পারবে কি ? সবিতা রেণুর নির্লিপ্ত মুখের পানে ক্ষণিক দৃষ্টিপাত করিয়া ব্ৰজবাবুকে জবাব দিলেন, না মেজকর্তা, তোমার গোবিদের কুটীরে আমার মতন মহাপাপীর প্রবেশের উপায় নেই। Հ*Հ