পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় । } তারক ও রাখাল লজ্জায় অধোবদন হইল। নতুন-মা ঈষৎ ফিরিয়া চাপ ভৎপনা করিয়া কহিলেন, ছেলেদের সামনে এ তুমি করচ কি ? কেন ? ওদের সাবধান করে দিচ্ছি। প্রাণ থাকতে যেন কখনো ওরা ফুটकफ़ांझे न थांग्न । - তবে তাই করো, আমি উঠে যাই । ঐ তো তোমার দোষ নতুন-বে, চিরদিন কেবল তাড়াই লাগাবে আর রাগ করবে, একটা সত্যি কথা কখনো বলতে দেবে না। ভাবলাম, আসল দোষটা যে সত্যিই কার, এতকাল পরে খবরটা পেলে তুমি খুশী হয়ে উঠবে—ত হোলে উন্টে। নতুন-মা হাত জোড় করিয়া কহিলেন, হয়েছে—এবার তুমি থামো,—রাজু ? রাখাল মুখ তুলিয়া চাহিল। নতুন-মা বলিলেন, তুমি যে-জন্ত কাল গিয়েছিলে ওঁকে বলে । রাখাল একবার ইতস্ততঃ করিল, কিন্তু ইঙ্গিতে পুনশ্চ সুস্পষ্ট আদেশ পাইয়া বলিয়া ফেলিল, কাকাবাবু, রেণুর বিবাহ তো ওখানে কোনমতেই হতে পারে না। শুনিয়া ব্ৰজবাবু এবার বিস্ময় সোজা হইয়া বসিলেন, তাহার রহস্য-কৌতুকের ভাবটা সম্পূর্ণ তিরোহিত হইল, বলিলেন, কেন পারে না ? রাখাল কারণটা খুলিয়া বলিল । কে তোমাকে বললে ? রাখাল ইঙ্গিতে দেখাইয়া বলিল, নতুন-মা। ওঁকে কে বললে ? আপনি ওঁকেই জিজ্ঞাসা করুন ? ব্ৰজবাৰু স্তব্ধভাবে বহুক্ষণ বসিয়া থাকিয়া প্রশ্ন করিলেন, নতুন-বোঁ, কথাটা কি সত্যি ? * নতুন-মা ঘাড় নাড়িয়া জানাইলেন, ই, সত্যি! ব্ৰজবাবুর চিন্তার সীমা রহিল না। অনেকক্ষণ নিঃশব্দে কাটিলে বলিলেন, তা হলেও উপায় নেই। রেণুর আশীৰ্ব্বাদ ; গায়ে-হলুদ পর্যন্ত হয়ে গেছে, পরশু বিয়ে, একদিনের মধ্যে আমি পাত্র পাব কোথায় ? - নতুন-মা আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, তুমি তো নিজে পাত্র খুজে আনোনি মেজকর্তী, ধারা এনেছিলেন তাদের হুকুম করো। ব্ৰজবাবু বলিলেন, তারা শুনবে কেন ? তুমি তো জানো নতুন-বোঁ, হুকুম করতে জামি জানিনে—কেউ আমার তাই কথা শোনে না ! তারা তো পর, কিন্তু তুমিই কি কখনো আমার কথা শুনেচে আজ সত্যি করে বলে দিকি । : হয়ত বিগত-দিনের কি একটা কঠিন অভিযোগ এই উল্লেখটুকুর মধ্যে গোপন ξέ ১২শ-s