পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লী-সমাজ কখনো খরচ করেন না। যদু মুখুয্যে মহাশয়ের কন্যা—সতীলক্ষ্মী তিনি–র্তাব দয়া না থাকিলে ইস্কুল অনেক দিন উঠিয়া যাইত। এ বৎসরই নিজের খবচে চাল ছাইয়া দিবেন আশা দিয়াও হঠাৎ কেন যে সমস্ত সাহায্য বন্ধ করিয়া দিযাছেন, তাহার কারণ কেহই বলিতে পারে না । রমেশ কৌতুহলী হইয়া রমার সম্বন্ধে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করিয়া শেষে জিজ্ঞাসা করিল, তার একটি ভাই এ ইস্কুলে পড়ে না ? মাস্টার কহিল, যতীন ত ? পড়ে বৈ কি । রমেশ বলিল, আপনাব ইস্কুলের বেলা হযে যাচ্ছে, আজ আপনি যান, কাল আমি আপনাদের ওখানে যাব । যে আঞ্জে, বলিয়া হেডমাস্টার অব একবার রমেশকে প্রণাম কবিয়া জোব করিয়া তাহার পাযের ধুলা মাথায় লইয়া বিদায হইল । \9 বিশ্বেশ্বরীর সেদিনের কথাটা সেইদিনই দশখানা গ্রামে পরিব্যাপ্ত হইয়া গিয়াছিল। বেণী লোকটা নিজে কাহারও মুখের উপর রূঢ় কথা বলিতে পারিত না , তাই সে গিয়া রমার মাসীকে ডাকিয়া আনিযাছিল। সেকালে না-কি তক্ষক দাত ফুটাইয়৷ এক বিবাট অশ্বথ গাছ জালাইয। ছাই করিযী দিযাছিল। এই মাসীটিও সেদিন সকালবেলায় ধরে চড়িয়া যে বিষ উদগীর্ণ করিয়া গেলেন, তাহাতে বিশ্বেশ্বরীর যুক্তমাংসেব দেহটা কাঠেব না বলিযাই হোক, কিংবা একাল সে কাল নয় বলিয়াই হোক, জলিয়া ভস্মধূপে পরিণত হইযা গেল না। সমস্ত অপমান বিশ্বেশ্বরী নীয়ৰে সত্ব করিলেন। কারণ, ইহা যে তাহার পুত্রের দ্বারাই সংঘটিত হইযাছিল, সে কথা তাহার অগোচর ছিল না। পাছে রাগ করিয়া একটা কথার জবাব দিতে গেলেও এই স্ত্রীলোকের মুখ দিয়া সৰ্ব্বাগ্রে তাহার নিজের ছেলের কথাই বাহিরে প্রকাশ হইয়া পড়ে এবং তাহ রমেশের কর্ণগোচর হয, এই নিদারুণ সঙ্গার ভয়েই সমস্ত সময়টা তিনি কাঠ হইয়া বসিয়াছিলেন । তবে পাড়াগাযে কিছুই ও চাপা থাকিবাব জো নাই । রমেশ শুনিতে পাইল । জ্যাঠাইমার জন্য তাহার প্রথম হইতেই বার বার মনের ভিতরে উৎকণ্ঠ ছিল এবং এই লইয়৷ মাতা-পুত্রে যে একটা কলহ হইবে সে আশঙ্কাও করিয়াছিল। কিন্তু বেশী যে বাহিরের লোককে ঘরে ডাকিয়া আনিয়া নিজের ಫ್ಲಡ್ಕಾ করিয়া অপমান ও নির্ধ্যাতন করিবে এই কথাটা সহসা তাহার কাছে একটা স্বটিছাড়া কাও বলিয়া মনে 3to