বিরাজ-বেী ত্যাগ করিয়া গিয়াছে। সে নীলাম্বরের মনোকষ্ট আর দেখিতে পারিতেছিল না। মনে হইয়াছিল, এ-কথায় সে ক্রোধের বশে হয়ত দুঃখ ভুলিতে পরিবে। ঘরে আসিয়া নীলাম্বর এ কথা বলিয়াছিল। সে কথা মনে করিয়া ছোটবোঁ খানিকক্ষণ চুপ করিয়া পাকিয় মৃদুস্বরে বলিল, ঠাকুরবিকে জানিয়ে কাজ নেই। কি ক’রে লুকাবে মা ? যখন জিজ্ঞেস করবে, বৌদির কি হয়েছিল, তখন কি জবাব দেব ? $ ছোটবোঁ বলিল, যে কথা সকলে জানে, দিদি নদীতে প্রাণ দিয়েছেন— ৩াই । নীলাম্বর মাথা নাড়িয়া কহিল, তা হয় ন৷ মা ! শুনেচি, পাপ গোপন করলেই BSBBB BB BBB BBS BBBS BB BSBB BBB BB BBBB BBB না । বলিয়া সে একটুখানি হাসিল । সেটুকু হাসিতে কত ব্যথা, কত ক্ষম, তাহা ছোটবোঁ বুঝিল। খানিক পরে ছোটবোঁ অতিশয় সঙ্কুচিত ভাবে মৃদুস্বরে বলিল, এ-সব কথা হয়ত সত্যি নয় বাবা । কোন সব কথা মা ? তোমার দিদির কথা ? ছোটবে নতমুখে মৌন হইয়া রহিল । নীলাম্বর বলিল, সত্যি বক্ট কি মা—সব সত্যি | জন ৩ মা, রেগে গেলে সে পাগলীর জ্ঞান থাকত না। যখন এতটুকুটি ছিল, তখনও তাষ্ট, যখন বড় হ’ল তখনও তাই । তাকে যে অত্যাচার, যে অপমান আমি করেছিলাম, সে সহ করতে বোধ করি স্বয়ং নারায়ণও পারতেন না—সে ত মাতৃত্ব । লীলাম্বব হাত দিয়া এক ফোটা অশ্র মুছিয়া ফেলিয়া বলিল, মনে হ’লে বুক ফেটে যায় মা, হতভাগী তিন দিন খায়নি, জরে কঁপতে কঁপিতে আমার জন্তে দুটি চাল ভিক্ষে করতে গিয়েছিল, সেই অপরাধে আমি—আর সে বলিতে পারিল না, কেঁাচার খুটি মুখে গুজিয়া দিয়া উচ্ছ্বসিত ক্ৰন্দন সবলে নিরোধ করিয়া ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিল । ছোটবোঁ নিজেও তেমনই করিয়া কাদিতেছিল, সেও কথা কহিল না। বহুক্ষণ কাটিল । বহুক্ষণ পরে নীলাম্বর কতকটা প্রকৃতিস্থ হইয়া চোখ মুছিয়া বলিল, অনেক কথাই তুমি জান, তবু শোন মা । কি ক’রে জানি নে, সেই রাতেই সে অজ্ঞান উন্মত্ত হয়ে স্বন্দরীর বাড়িতে গিয়ে উঠে তারপরে—উঃ–টাকার লোভে সুন্দরী, পাগলীকে আমার সেই রাতেই রাজেনবাবুর বজরায় তুলে দিয়ে আসে– তাহার কথা শেধ হইতে না হইতেই মোহিনী নিজেকে ভুলিয়, গঙ্গা-সরম ভুলিয়া উচ্চকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, কখখনো সত্যি নয় বাব, কখখনো সত্যি নয়। দিদির 3> }