SA পৃটি বানাকে মূহুর্তের বিশ্রাম দেয় না। পূজার সময় হইতে পৌষের শেষ পৰ্যও :ক্রমাগত নগরের পর নগরে, তীর্থের পর তীর্থে টানিয়া লইয়া ফিরিতেছিল। তার অল্প বয়স, সুস্থ সবল দেহ, জসীম কৌতুহল, তাহার সহিত সমানে পা ফেলিয়া চলা নীলাম্বরের সাধ্যাতীত –লে শ্রাস্ত হইয়া পড়িয়াছে। অথচ, কোথাও বসিয়া একটুখানি জিরাইয়া লইবার ইচ্ছা না হইয়া কেন যে সমস্ত দেহটা তাহার ঘরের পানে চাহিয়া অহৰ্নিশ কাদিয়া কাদিয়া নালিশ জানাইতেছে, ইহাও সে বুঝিতে পারিতেছে না। কি আছে দেশে ? কেন এমন স্বাস্থ্যকর স্থানে মন বসে না 7 ছোটবোঁ মাঝে মাঝে পুটিকে চিঠি দেয় ; তাহাতেও এমন কোনও কথা থাকে না, তথাপি সেই বন জঙ্গলের অবিশ্রাম টানে তাহার শীর্ণ দেহ কঙ্কালসার হইয়া উঠিতে লাগিল। পুটি চায়-দাদা সব ভুলিয়া জাবার তেমনিই হয়। তেমনিই মুস্থ সদানন, তেমনই মুখে মুখে গান, তেমনই কারণে অকারণে উচ্চহাসির অফুরন্ত ভাণ্ডার । কিন্তু দাদা তাহার সমস্ত চেষ্টা নিষ্ফল করিতে বলিয়াছে। আগে সে এমন ভাবিয়া দেখে নাই। হতাশ হয় নাই, মনে করিত, আরও দুদিন স্বাক । কিন্তু দু’দিন করিয়া চার-পাচ মাস কাটিয়া গেল, কৈ কিছুই ত হইল না। বাড়ি ছাড়িয়া আসিবার দিনে, মোহিনীর কথায় ব্যবহারে বিরাজের উপর তাহার একটা করুণার ভাব আসিয়াছিল, তাহার কথাগুলো বিশ্বাগও করিয়াছিল। দাদা ভাল হইয়া গেলে ছেলেবেলার কথা মনে করিয়া সে হয়ত মনে মনে তাহাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করিতেও পারিত। বস্তুত ক্ষমা করিবার জন্য, সেই বৌদিদিকে একটুখানি মাধুর্ঘ্যের সহিত স্মরণ করিবার জন্য একসময়ে সে নিজেও ব্যাকুল হইয়াছিল, কিন্তু সে সুযোগ তাঙ্গার মিলিতেছে কৈ ? দাদা ভাল হইতেছে কৈ ? একে ত সংসারে এমন কোনও দুঃখ, কোনও হেতু সে কল্পনা করিতে পারে না, বাহাতে এই মাস্থ্যটিকে এত দুঃখে ফেলিয়া রাখিয়া কেহ সরিয়া দাড়াইতে পারে। বৌদি ভাল হউক, মন্ম হউক, পুটি আর ভ্ৰক্ষেপ করে না, কিন্তু ত্যাগ করিয়া যাইবার অমার্জনীয় অপরাধে যে স্ত্রী অপরাধিনী, তাহার প্রতি বিদ্বেষেরও তাহার যেন অম্ভ রছিল না, সেই হতভাগিনীকে প্রত্যহ স্মরণ করিয়া তাহার বিচ্ছেদ এমন করিয়া মনে মমে পালন করিয়া, যে মানুষ নিজেকে ক্ষয় করিয়া জানিতেছে, তাহারও প্রতি তাছার চিত্ত প্রসঙ্গ হইল না । একদিন সকালে সে মূখ তার করিয়া আসিয়া বলিল, দা, বাড়ি ঘাই চল। নীলাম্বর কিছু বিস্থিত হইয়াই বোনের মূখের পানে চাছিল, কারণ, মাঘ মাসটা প্রাগে কাটাইবার কৰা ছিল। পৃটি দাদার মনের ভাব বুধিয়া বলিল, একটা নিও জার षांकरुख छांद्देहन, कांगदे बांब ।।
