শরৎসাহিত্য-সংগ্ৰহ
তোলে। সে হিসাবের পাতার উপরে দৃষ্ট রাখিয়াই কথা কহিতেছিল, হঠাৎ একটা বড় অঙ্ক তাহার চোখে পড়িতেই, চমকিয়া কহিল, এটা কি ? চারশ-ছ টাকা—
উষা উত্তর দিল, ও টাকাটা মুদির দোকানে দিয়েচি। এখনো বোধ করি শ দুই আন্দাজ বাকী রইল, বলেচি আসচে মাসে দিয়ে দেব।
শৈলেশ অবাক হইয়া বলিল, ছ-শ টাকা মুদির দোকানে বাকী ? উষা হাসিয়া কহিল, হবে না ? কখনো শোধ করবে না, কখনো হিসেব দেখতে চাইবে না-কাজেই দু’বছর ধরে এই টাকাটা জমিয়ে তুলেচ ।
শৈলেশ এতক্ষণে মুখ তুলিয়া চাহিল, বলিল, তুমি কি এই ছ’বছরের হিসেব দেখলে নাকি ।
উষা ঘাড় নাড়িয়া বলিল, নইলে জার উপায় ছিল কি ? শৈলেশ চুপ করিয়া বসিয়া রছিল, কিন্তু তাহার মূপের উপরে যে লজ্জার ছায়া পড়িতেছে, এ কথা এই পাঁচ মিনিটের পরিচয়েও উষার চিনিতে বাকী রহিল না; জিজ্ঞাসা করিল, কি ভাবচ বল ত ?
শৈলেশ হাসিবার চেষ্টা করিয়া কহিল, ভাবচি টাকা যা ছিল, সব ত খরচ করে ফেললে, কিন্তু মাইনে পেতে পনর-ষোল দিন বাকী।
উষা মাথা নাড়িয়া কহিল, আমি কি ছেলেমামুষ যে, সে হিসেব নেই ? পনর দিন কেন, এক মাসের আগেও আমি তোমার কাছে টাকা চাইতে আসব না। কিন্তু কি কাও করে রেথেচ বল ত ? গোয়ালা বলছিল, তার প্রায় দেড়শ টাকা পাওনা। ধোপা পাবে পঞ্চাশ টাকার ওপর, আর দর্জির দোকানে যে কত পড়ে আছে, সে গুৰু তারাই জানে। আজ হিসেব পাঠাতে বলে পাঠিয়েছি।
শৈলেশ অত্যন্ত তয় পাইয়া বলিল, করেচ কি ? তারা হয়ত হাজার টাকাই পাওনা বলবে -কিন্তু দেবে কোথা থেকে ?
উষা নিশ্চিম্ভমূখে কহিল, একেবারেই দিতে পারব তা ত বলিনি, আমি তিন-চার মাসে শোধ করব। আর কারও কাছে ত কিছু ধার করে রাখোনি ? আমাকে লুকিয়ো না।
শৈলেশ তাহার মুখের প্রতি দৃষ্টি স্থির করিয়া রাখিয়া শেষে আস্তে আস্তে বলিল, গত বৎসর গ্রীষ্মের ছুটিতে সিমলা যেতে একজনের কাছে হাওনোটে দ্ব-হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম, একটা টাকা সুদ পর্য্যন্ত দিতে পারিনি।
উষা গালে হাত দিয়া বলিল, আবাৰু কাও ! কিন্তু পরক্ষণেই হাসিয়া ফেলিয়া বলিল, ভূমিও দেখচি এক বছরের আগে আর জামাকে ঋণমুক্ত হতে দেবে না। কিন্তু
जात्र किडूkमहे ७ ?
Yeo
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/৩৫০
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
