পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ উমা হাসিন্মুখে চুপ করিয়া রছিল। উষা মুখ না তুলিয়া বলিল, তা হলেই হয়েচে আর কি ! আপনাদের সমাজে ওকে এক-স্বরে করে দেবে। ক্ষেত্রমোহন কহিলেন, তা দিক বৌঠাকরুন। কিন্তু ওরা স্বামী-স্ত্রীতে যে পরম মুখে থাকবে তা বাজি রেখে বলতে পারি। শৈলেশ ৰিভার প্রতি একবার কটাক্ষে চাহিয়া ঠাট্টা করিয়া কহিল, বাজি রাখতে আর হবে না ভাই, এই বলাতেই যথেষ্ট হবে। ক্ষেত্রমোহন জবাব দিয়া কহিলেন, আর যাই হোক, আজকের কাজটুকুও যদি মনে রাখতে পারে ত নিরর্থক নিত্য নূতন মোজা-কেনার দায় থেকেও অন্ততঃ ওর স্বামী বেচারা অব্যহতি পাবে। বিভা সেই অবধি চুপ করিয়াই ছিল, আর পারিল না। কিন্তু গৃঢ় ক্রোধের চিহ্ন গোপন করিয়া একটুখানি হাসিবার প্রয়াস করিয়া বলিল ওর ভবিষ্যৎ সংসারে হয়ত মোজায় তালি দেবার প্রয়োজন নাও হতে পারে । দিলেও হয়ত ওর স্বামী পরতে চাইবে না। আগে থেকে বলা কিছুই যায় না। ক্ষেত্রমোহন কহিলেন, ষায় বৈ কি ! চোখ কান খোলা থাকলেই বলা যায়। যে সত্যিকারের জাহাজ চালায়, সে জলের চেহারা দেখলেই টের পায় তলা কত দূরে। বৌঠাকরুন, জাহাজে পা দিয়েই ধরে ফেলেছিলেন, একটু অসাবধানেই তলায় পাক গুলিয়ে উঠবে, এতেই আপনাকে সহস্র ধন্যবাদ দিই। আর শৈলেশের পক্ষ থেকে ত লক্ষ্যকোটি ধন্যবাদেও পৰ্যাপ্ত হবার নয়। উষা অত্যন্ত লজ্জা পাইয়া সবিনয়ে বলিল, নিজের গৃহে নিজের স্বামীর অবস্থা বোঝবার চেষ্টা করার মধ্যে ধন্যবাদের ত কিছুই নেই ক্ষেত্রমোহনবাবু। এ-কথার জবাব দিল বিভা । সে কহিল, অন্ততঃ নিজের স্ত্রীকে অপমান করার কাজটা হয়ত সিদ্ধ হয়। তা ছাড়া, কাউকে উদ্ধৃবৃত্তি করতে দেখলেই বোধ হয় জার কারুর ভক্তি-শ্রদ্ধ উথলে উঠে। উষা মূখ তুলিয়া চাহিয়া প্রশ্ন করিল, স্বামীর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করার চেষ্টাকে কি উংস্কৃত্তি বলে ঠাকুরবি ? ক্ষেত্রমোহন তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিলেন, না, বলে না । পৃথিবীর কোন ভদ্রব্যক্তিই এমন কৰা মুখে জানতেও পারে না। কিন্তু স্বামীর চক্ষে স্ত্রীকে নিরস্তুর হীন প্রতিপন্ন করবার চেষ্টাকে হৃদয়ের কোন প্রবৃত্তি বলে, আপনার ঠাকুরবিকে বরঞ্চ জিজ্ঞাসা করে নিন। বিতার মূখ দিয়া সহসা কোন কৰা বাহির হইল না। অভিভূতের মত একবার cग बङीब्र ऋषद्र शिक, ५कदांब्र नागtअब्र द्रषद्र शिरक निर्सक श्रेब कॉरिश ब्रहिण। अठछणि cलांटकब्र जघtभ छांशद्र चांबैौ cष षषांर्ष-रे उांशांक ७षन कब्रिह Byo