শরৎসাহিত্য-সংগ্ৰহ টাকা আছে, হৃদয় আছে, পরের জন্ত খরচ করা আপনার কঠিন নয়, কিন্তু আমাকে দয়া করবেন এ-ভুল যদি আপনার থাকে সেটা দূর হওয়া চাই। কোন ছলেই আপনার ভিক্ষে আমি গ্রহণ করব না । আপ্তবাবুর সেই সেলাইয়ের কলের ব্যাপারটা মনে পড়িল, ব্যথিত হইয়া কহিলেন, ভুল যদি একটা করেই থাকি কমল, তার কি ক্ষমা নেই ? কমল কহিল, ভুল হয়ত তখন তত করেননি, যেমন এখন করতে যাচ্চেন । ভাবচেন শিবনাথবাবুকে বাচানোটা প্রকারাস্তরে আমাকেই বাচানো, আমাকেই অনুগ্রহ করা। কিন্তু তা নয়। এর পরে আপনি যেমন ইচ্ছে ব্যবস্থা করুন আমার আপত্তি নেই। আগুবাবু মাথা নাড়িতে নাড়িতে বলিলেন, এমনি রাগই হয় বটে কমল ; এ তোমার অস্বাভাবিকও নয়, অন্যায়ও নয়। বেশ, আমি শিবনাথকেই বঁাচাতে চাচ্ছি, তোমাকে অনুগ্রহ করচিনে । এ হলে হবে ত ? কমলের মুখে বিরক্তি প্রকাশ পাইল । কহিল, ন, হবে না। আপনাকে যখন আমি বোঝাতে পারব না আমার উপায় নেই। ওঁকে হাসপাতালে পাঠাতে না চান হরেনবাবুর আশ্রমে দিন। তারা অনেকের সেবা করেন, এরও করবেন। আপনার যা খরচ করবার তা সেখানেই করবেন। আমি নিজেও বড় ক্লান্ত, এখন উঠি । বলিয়া সে যথার্থ-ই উঠিবার উপক্রম করিল। তাহার কথায় ও আচরণে আশুবাবু মনে মনে ক্রুদ্ধ হইলেন, বলিলেন, এ তোমার বাড়াবাড়ি কমল। উভয়ের কল্যাণের জন্য যা করতে যাচ্ছি তাকে তুমি অকারণে বিকৃত করে দেখচ । একদিক দিয়ে যে আমার লজ্জার অবধি নেই এবং এ কদাচার অস্কুরে বিনাশ না করলে যে আমার গ্লানির সীমা থাকবে না সে আমি জানি, কিন্তু আমার কন্যা সংশ্লিষ্ট বলেই যে আমি কোনমতে একটা পথ খুজে বেড়াচ্চি তাও সত্য নয়। শিবনাথকে আমি নানামতেই বাচাতে পারি, কিন্তু কেবল সেইটুকুই আমি চাইনি। যাতে দুঃখের দিনে তোমার অস্তরের সেবা দিয়ে তাকে তেমনি করেই আবার ফিরে পাও সেই কামনা করেই এ প্রস্তাব করেচি, নিছক স্বার্থপরতাবশেই করিনি। কথাগুলি সত্য, সকরুণ এবং আন্তরিকতায় পূর্ণ। কিন্তু কমলের মনের উপর দাগ পড়িল না। সে প্রত্যুত্তরে কহিল, ঠিক এই কথাই আপনাকে আমি বোঝাতে যাচ্ছিলাম জাপ্তবাবু। সেবা করতে আমি অসম্মত নই, চা-বাগানে থাকতে অনেকের অনেক সেবা করেচি, এ আমার অভ্যাস আছে। কিন্তু ফিরে পেতে ওঁকে আমি NVS)e &
