পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেল প্রশ্ন কেবল আমাদেরই ছিল, পৃথিবী খুজলেও কি আর কোথাও এর জোড়া মিলবে অজিত ? আমাদের সমাজকে র্যারা একদিন গড়েছিলেন, আমাদের সেই প্রাচীন শাস্ত্ৰকৰ্ত্তারা ব্যবসায়ী ছিলেন না, ছিলেন সন্ন্যাসী ; তাদের দান নিঃসংশয়ে নতশিরে নিতে পারলেই হ’ল আমাদের চরম সার্থকতা। এই আমাদের কল্যাণের পথ কমল, এ-ছাড়া আর পথ নেই। অজিত স্তন্ধ হইয়া রছিল, সতীশ ও হরেন্দ্রর বিস্ময়ের পরিসীমা নাই—এই সাহেবী চাল-চলনের মানুষটি আজ বলে কি ! এবং রাজেন্দ্ৰ ভাবিয়া পাইল না, অকস্মাৎ কিসের জন্য আজ এই প্রসঙ্গের অবতারণা ! সকলের মুখের পরেই একটি অকপট শ্রদ্ধার ভাব নিবিড় হইয়া উঠিল। বক্তার নিজের বিস্ময়ও কম ছিল না। শুধু বলিবার শক্তির জন্তই নয়, এমন করিয়া কাহাকেও বলিবার সুযোগও তিনি কখনও পান নাই—তাহার মনের মধ্যে অনিৰ্ব্বচনীয় পরিতৃপ্তির হিল্লোল বহিতে লাগিল। ক্ষণকালের জন্ত ক্ষণকাল পূৰ্ব্বের দুঃখ যেন ভুলিয়া গেলেন । কছিলেন, বুঝলে কমল, কেন তোমাকে এ অনুরোধ করেছিলাম ? কমল মাথা নাড়িয়া বলিল, না। না ? না কেন ? কমল কহিল, বিদেশী শিক্ষার প্রভাব কাটিয়ে আবার সাবেক ব্যবস্থায় ফিরে যাবার চেষ্টা শিক্ষিতদের মধ্যে প্রচলিত হচ্ছে, এই খবরটাই আপনি পরমানন্দ্রে শোনাচ্ছিলেন। আপনার বিশ্বাস এতে দেশের কল্যাণ হবে, কিন্তু কারণ কিছুই দেখাননি। অনেক প্রাচীন রীতি-নীতি লোপ পেতে বসেছিল, তাদের পুনরুদ্ধারের যত্ন চলেচে। এ হয়ত সত্যি, কিন্তু তাতে ভালই যে হবে প্রমাণ কি আশুবাৰু? কই সে ত বলেননি ? বলিনি কি রকম ? না, বলেননি। যা বলছিলেন তা সংস্কার-বিরোধী পুরাতনের অন্ধ স্তাবকমাত্রই ঠিক এমনি করে বলে। লুপ্ত বস্তুর পুনরুদ্ধারমাত্রই যে ভাল তার প্রমাণ নেই। মোহের ঘোরে মন্দ বস্তুরও পুনঃপ্রতিষ্ঠা সংসারে ঘটতে দেখা যায়। আপ্তবাবু উত্তর খুজিয়া পাইলেন না, কিন্তু অজিত কহিল, মনাকে উদ্ধার করবার জন্তে কেউ শক্তি ক্ষয় করে না। কমল কহিল, করে। মন বলে নয়, পুরাতনমাত্রকেই স্বতঃসিদ্ধ ভাল মনে করে করে। একটা কথা আপনাকে প্রথমেই বলতে চেয়েছিলুম আগুবাবু, কিন্তু আপৰি גאסימ