শরৎসাহিত্য-সংগ্ৰহ কমল হালি-মুখে বলিল, কার বুদ্ধির পরে ? আমার না নিজের ? দুজনেরই । কমল বলিল, শুধু রাজেনকেই নয়, কি জানি কেন, সকাল থেকে আজ আমার সকলকেই মনে পড়েচে । আপ্তবাবু, মনোরমা, অক্ষয়, অবিনাশ, নীলিমা, শিবনাথ— এমন কি আমার বাবা— হরেন্দ্র বাধা দিল, ও চলবে না। আপনি আবার গম্ভীর হয়ে উঠচেন। আপনার বাপ-মা স্বর্গে গেছেন, তাদের টানাটানি আমার সইবে না । বরঞ্চ ধারা বেঁচে আছেন র্তাদের কথা, আপনি রাজেনের কথা বলতে চাচ্ছিলেন—তাই বলুন আমি শুনি । সে আমার বন্ধু, তাকে চিনি, জানি, ভালবাসি—আমাকে বিশ্বাস করুন, আমি আশ্রমই করি, আর যাই করি আপনাকে ঠকাবে না, সংসারে আরও পাঁচজনের মত ভালবাসার গল্প শুনতে আমিও ভালবাসি । 聯 কমলের গাম্ভীৰ্য্য সহসা হাসিতে ভরিয়া গেল, প্রশ্ন করিল, শুধু পরের কথা শুনতেই ভালবাসেন ? তার বেশিতে লোভ নেই ? হরেন্দ্র বলিল, না । আমি ব্রহ্মচারীদের পাও—অক্ষয়ের দল গুনতে পেলে আমায় খেয়ে ফেলবে । শুনিয়া কমল পুনশ্চ হসিয়া বলিল, না তারা থাবে না আমি উপায় করে দেবো । হরেন্দ্র ঘাড় নাড়িয়া বলিল, পারবেন না। আশ্রম ভেঙে দিয়ে পালিয়ে গিয়েও আর আমার নিস্তার নেই। অক্ষয় একবার যখন আমাকে চিনেচে, যেখানেই যাই সৎপথে সে আমাকে রাখবেই । বরঞ্চ আপনি নিজের কথা বলুন। রাজেনকে যে ভুলে থাকতে পারবে না—আবার সেইখান থেকে আরম্ভ করুন। কি করে সেই লক্ষ্মীছাড়া ছোড়াকে এতখানি ভালবাসলেন আমার শুনতে সাধ হয়। কমল কহিল, ঠিক এই প্রশ্নটাই আমি বারে বারে আপনাকে আপনি করি। সন্ধান পান না ? না । পাবার কথাও নয় এবং সত্যি বলে আমার বিশ্বাসও হয় না। কেন বিশ্বাস হয় না ? সে যাক। মনে হচ্ছে আগে একবার বলেচি ৷ কিন্তু আরও ভাল ক্যানডিডেট আছে। মীমাংসা চুড়ান্ত করবার আগে তাদের কেসগুলো একটুখানি নজর দিয়ে দেখবেন । এইটুকু নিবেদন । שף צ'