পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারীর মুল্য - আছে, নারীরাই স্বামী মনোনীত করে এবং বিবাহের প্রস্তাব তাহারাই করিতে পারে, পুরুষে পারে না, এই প্রথাটাই তাহাদিগের অবস্থা যথেষ্ট উন্নত করিয়া রাখিয়াছে। কথাটা বাহির হইতে মন্দ না শুনাইলেও বিপক্ষে বলিবারও বিস্তর আছে। প্রথম এই যে, মনোনীত করে বলিয়াই যে পুরুষের কাছে নিপীড়িত হয় না, তাহার কোন সঙ্গত হেতু নাই। যাহাদের মধ্যে দাম্পত্য প্রণয়ের কিছুমাত্র ধারণা নাই, যাহারা কথায় কথায় স্ত্রী-হত্যা করে, তাহদের মধ্যে নারীর এই একটুখানি ক্ষমতা পরিশেষে তাহাদিগের যে বিশেষ কোন কাজে আসে বলিয়া মনে হয় না। রেভারেও মুটার সাহেব বলেন, নারীর অনেকটা মান-মৰ্য্যাদা আফ্রিকার কঙ্গে এবং উগাণ্ড প্রদেশে আছে । বস্তুতঃ সেদেশে রমণী রাণী পৰ্য্যন্ত হয় । অথচ Captain Speke তাহার Discovery of the Source of the Nile to otwi s Sofísico Stool বড় লোকেরা কি করিয়া কথায় কথায় প্রায় বিনা-অপরাধে স্ত্রী-হত্যা করে, নিজের হাতে আঁকিয় তাহার ছবি পর্য্যন্ত দিয়া গিয়াছেন ; ঐ গ্রন্থে লিথিয়াছেন, হাতে দড়ি বাধিয়া স্ত্রীগুলিকে বধ্যভূমিতে টানিয়া লইয়া যাইবার সময় তাহারা যেভাবে উচ্চৈস্বরে কঁাদিতে কঁাদিতে যায়, শুনিলে অতি বড় পিশাচেরও দয়া হয়, অথচ সেদেশের পুরুষগুলি তাহাতে ক্ৰক্ষেপ করে না । গ্রন্থকারের তাবুর পার্থের পথের উপর দিয়া তাই প্রায়ই বাম-কণ্ঠে কান্না উঠিত—“হে মিয়াঙ্গি, হে বাক্কা ।” “ও আমার স্বামী ! ও আমার রাজা ।” স্বামী এবং রাজাট বোধ করি তখন মৃদু-মধুর হাস্ত করিতেন। সেই দেশের রাজা কিনেরার মৃত্যুর অব্যবহিত পরের ঘটনাগুলি যাহা কাপ্তেন স্পিক তাহার পুস্তকে চোখে দেখিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন, তাহ পাঠ করিলে মনে হয়, শিশুরা মাটীর পুতুলের যে মূল্য দেয় সে মূল্যও তথাকার পুরুষের নারীকে দেয় না। একস্থানে লেখা আছে, মৃত পিতার সমস্ত কন্যাগুলিকেই ছোট রাজা বিবাহ করিলেন, এবং সাতদিন পরে তাহার তিনটিকে ঠিক-মত ঙাজিগ ( সেলাম) না করার অপরাধে জীবন্ত দগ্ধ করিলেন। প্রায় পৰ্য্যটকেই পৃথিবীর আদিম অধিবাসীদের সম্বন্ধে লিখিয়া গিয়াছেন যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা ভালবাসার ব্যাপার অধিকাংশ অসভ্য জাতিরাই অবগত নহে। মনটেরো বলেন, “The Negro knows not love, affection or jealousy, they have no words or expression in their language indicative of affection or love.” সার জন লবক &-cotto owto own, “are so cold and indifferent to one another that you would think there was no such thing as love between them.” Wifros; Two “no feeling of love in ♥ፃ¢