পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারীর মূল্য তিনি বলিয়াছেন, আফ্রিকার এতবড় দুর্দশার বারো-আনা হেতু পুরুষের এই উচ্ছৃঙ্খলতা। তথায় সর্দারদিগের এবং ক্ষমতাপন্ন লোকদিগের মৃত্যুর পরেই একটা যুদ্ধ-বিগ্রহ ওলোটপালট অনিবাৰ্য্য। সেখানে কে যে কার বৈমাত্র ভাই হয়, কাহার সম্পত্তিতে কাহার যে অধিকার নাই, তাহা গায়ের জোরে এবং বল্লমের ফলা ভিন্ন প্রতিপন্ন করার দ্বিতীয় পথ নাই । আরো একটা কথা । ঐ কাপ্তেন সাহেব যখন তাহার একজন ওয়াবিম্বি নিগ্রে ভূত্যের মুখে শুনিলেন যে, তাহারা নরমাংস আহার করে এবং বড় ভালবাসে, তখন প্রশ্ন করিয়াছিলেন, “বাপু নরমাংস এত পাও কোথায় ? নিজেদের লোক মারিয়া আহার কর কি ?” সে লোকটা জবাব দিয়াছিল, “না, নিজেদের লোক মারি না, আশ-পাশের গ৷ হইতে কিনিয়া আনি ৷” “অর্থাৎ ?” লোকটা বলিল, “যে-সব ছেলে-মেয়েদের বাপ নাই, তাহারা খাইতে না পাইয়া প্রায়ই পীড়িত হইয় পড়ে, তখন তাহীদের জননীরা একটা ছাগল পাইলেই শিশুগুলিকে দিয়া দেয়, আমরা ঘরে আনিয়া মারিয়া খাই ।” সুসভ্য দেশেও বাপ আর একটা বিবাহ করিয়া তাহার দ্বিতীয় পক্ষের শিশুগুলির তুলনায় প্রথম পক্ষের সন্তানগুলির উপরে যেমন অনেক সময়েই নির্দয় হইয়া উঠেন, এ-ক্ষেত্রে জননীরাও বোধ করি সেইরূপই হয়, তবে অসভ্য বলিয়া কিছু বাড়াবাড়ি করে এবং করাই বোধ করি স্বাভাবিক। আন্দামান দ্বীপের অসভ্যদিগের একটা প্রথা আছে, শিশুর দীত না ওঠা পৰ্য্যন্ত স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকে, তার পর যে যাহার পথ দেখে । পুরুষটা আর একটি স্ত্রী খোজে, তাহার স্ত্রীটিও তাই। সে-সময়ে জননীর প্রায়ই ত্যহাদের দাত-ওঠা শিশুটিকে কোন একটা জলাশয়ের ধারে ফেলিয়া দিয়া দ্বিতীয় সংসার করিতে যায়। সেইজন্যই ডাক্তার Francis Day রিপোর্ট দিয়াছিলেন, আন্দামান দ্বীপবাসীরা ‘are fast dying out' এবং অনেক অমুসন্ধান করিয়াও তিনি এমন একটি জননী খুজিয়া পান নাই যাহার একসঙ্গে তিনটি সন্তানও জীবিত আছে । আমেরিকার কুচিল জননীর সন্তান পীড়িত হইয়া পড়িলেই বনের ভিতর cofoil fool atom I &tists colo Savage Life and Scenes in Australia and New Zealand (by G. F. Angas )- R. BIRA wfR বলিয়াছিলেন, Angas সাহেবের কথা বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হয় না যে, সত্যই অষ্ট্রেলিয়ার অসভোর অভাবে নিজেদের জীবন্ত ছেলেমেয়েদের বড়সিতে গাখিয়া কুমীর হাঙ্গর ধরিবার টোপ (bate ) প্রস্তুত করে এবং চর্বির লইয়া মাছ ধরে। কিন্তু র্তাহার কথা অবিশ্বাস করিবার বিশেষ হেতু নাই। কারণ, অমুসন্ধান করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, যে-কোন দেশে যে-কোন জাতির মধ্যে সমাজে নারীর স্বাস নীচে ©ፃU ఇI-8ty