পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

एश्रांकांशॆी कांठन কেউ জানে না। স্বল্পভাষী মেয়ে,—নিজের মুখে প্রায়ই কিছু বলে না। দেখতে সে স্বন্দরী নয়, মুখের পরে একটা পুরুষালি তাব, কাউকে টানে, কাউকে দূরে ঠেলে। বর্ণ কালোর দিকে, কিন্তু মেদ-মাংসের বাহুল্যবজিত দীর্ঘছন্দের দেহ কৰ্ম্মঠ ও কষ্টসহিষ্ণু, তা দেখা মাত্রই বুঝা যায়, এবং জন্মভূমি যে পূর্ববাঙলার কোন এক স্থলে সে পরিচয়ও ধরা পড়ে তার উচ্চারণে । মনে হয় একদিন কলেজে পড়েছিল সে নিশ্চিত, হয়ত বা কিছু কিছু পরীক্ষা পাসও করেছে, কিন্তু জিজ্ঞাসা করলে বলে না, শুধু হাসে। তার ইংরাজী ও বাঙলা লেখার শুদ্ধতা ও ক্ষিপ্রতা দেখে এককড়ি অবাকু হয়ে যায়। সঙ্ঘের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে প্যামপ্লেট ছেপে প্রচার করার বিধি আছে । আগে রচনার ভার ছিল জলধির, এখন পড়েছে মণিমালার পরে। পূৰ্ব্বে এই লেখাটা আদায় করতে এককড়ি গলদঘর্ঘ হতো, এখন বলা মাত্র লেখা আপনি আসে । জলধি সেক্রেটারি, কাটকুট না করে, কলম না চালিয়ে তার মান বঁাচে না। এককড়ি বিরক্ত হয়ে মণিমালাকে আড়ালে ডেকে বলে, ফুলের ক্ষেতে ফাল চালাবার যদি ওর সথ, কিন্তু উলুবনের তে অভাব নেই,—আমাকে বললে একটা দেখিয়ে দিতেও পারতাম,—তাতে কাজ না হোক অকাজ ঘটতে না । কিন্তু এ লেখাটা যে দশজনে পড়বে মণি, একে নাম-সই করে ছাপাতে দেবো কি করে ? ওকে ব’লো এবার থেকে ও-ই যেন দস্তখত করে । মণিমালা জলধির হয়ে সলজে বলে, কিছু খারাপ হয়নি এককড়িদা, প্রেসে পাঠিয়ে দিন। সংশোধনগুলো আমার ভালই লেগেছে। সেই ভাল, বলে এককড়ি ছাপতে পাঠিয়ে দেয়। সঙ্ঘের বাইরের চেহারার একটা নমুনা দিলাম, ভিতরের মূৰ্ত্তিটা ক্রমশ প্রকাশ পাবে। জলধি হাত-ঘড়িটা মিলিয়ে দেখে বললে, চারটে পনেরো—ভিড় জমতে ঘণ্টাতিনেক দেরি। কিন্তু সঙ্ঘের-সেক্রেটারি আমি, সকাল সকাল আসাই আমার উচিত । খেয়ে-দেয়েই আসবো ভেলেছিলাম, কিন্তু ঘটে উঠলো না। পথের মধ্যে ভাবলাম সুরেন আর তারিণীকে ডেকে নিই, কিন্তু পরের কাছে আপনি পাছে মন না খোলেন সেই ভয়ে বিরত হলুম। এককড়ি বললেন, স্করেন, তারিণী পর হ’লে ? তবে আপনার বলে কাকে ? বলি শুধু আমার নিজেকে। ওদের সামনে মন খুললেও আমি মুখ খুলতে পারতাম না। ইতিমধ্যে গোটা-দুই অনুরোধ আছে দাদা। কিসের অনুরোধ ? একটা এই যে সঙ্ঘের আপনিই দেহ, আপনিই প্রাণ। আত্মার আলোচনা করবে না, অচিন্তনীয় পদার্থ হয়ে তিনি চিন্তার অনধিগমাই থাকুন। আমরা খুণ্ড অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। তিনটে বছর ত এই দেহ-যন্ত্রটা টেনে টেনে বেড়ালাম, এবার অল্পমতি \øg« to-88