পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जैकांसं ऐव धूशै। इद्देब्रा करिण, ७ई उ फ्रांश्-नैंiठांद्र जन्रण थांदtब्र छद्र क्रिगद्र ! প্রত্যুত্তরে জামি একটি ছোট্ট নিশ্বাস চাপিয়া ফেলিলাম–পাছে সে গুনিতে পায় । কিন্তু এই গাঢ় অন্ধকার রাত্রিতে, এই জলরাশি এবং এই দুর্জয় স্রোতের সঙ্গে সাতার জানা, এবং না-জানার পার্থক্য যে কি, তাহা ভাবিয়া পাইলাম না । সেও আর কোন কথা কহিল না। বহুক্ষণ এইভাবে চলার পরে কি একটা যেন শোনা গেল—অফুট এবং ক্ষীণ; কিন্তু নৌকা মৃত অগ্রসর হইতে লাগিল, ততই সে শব স্পষ্ট এবং প্রবল হইতে লাগিল । ষেন বহুদূরাগত কাহাম্বের ক্রুদ্ধ আহবান। যেন কত বাধাবিঘ্ন ঠেলিয়া ডিঙাইয়া সে আহবান আমাদের কানে আসিয়া পৌঁছিয়াছে –এমনি শাস্ত, অথচ বিরাম নাই, বিচ্ছেদ নাই—ক্রোধ যেন তাহাদের কমেও না বাড়েও না, থামিতেও চাহে না । মাঝে মাঝে এক-একবার ঝুপ-ঝাপ, শব্দ। জিজ্ঞাসা করিলাম, ইন্দ্র, ও কিসের আওয়াজ শোনা যায় ৮ সে নৌকার মুখটা আর একটু সোজা করিয়া দিয়া কহিল, জলের স্রোতে ওপারের বালির পাড় ভাঙার শবদ । জিজ্ঞাসা করিলাম, কত বড় পাতৃ ? কেমন স্রোত ? সে ভয়ানক স্রোত । ওঃ, তাইত, কাল জল হয়ে গেছে, আজ ত তার তলা দ্বিয়ে যাওয়া যাবে না। একটা পাড় ভেঙে পড়লে ডিঙি শুদ্ধ আমরা সব গুড়িয়ে যাব। তুই দাড় টানৃতে পারিস্ ? পারি। তবে টান ? আমি টানিতে শুরু করিলাম। ইন্দ্ৰ কহিল, উই—উই ষে কালে মত বাদিকে দেখা যায়, ওটা চড়া। ওর মধ্যে দিয়ে একটা খালের মত আছে, তারি ভিতর দিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে, কিন্তু খুব আস্তে—জেলেরা টের পেলে আর ফিরে আসতে হবে না। লগির বায়ে মাথা ফাটিয়ে পাকে পুতে দেবে। এ আবার কি কথা ! সভয়ে বলিলাম, তবে ওর ভিতর দিয়ে নাই গেলে ! ইন্দ্র বোধ করি একটু হাসিয়া কহিল, আর ত পথ নেই। এর মধ্যে দিয়ে যেতেই হবে। বড় চড়ার বাজিকের রেত ঠেলে জাহাজ যেতে পারে না—আমরা যাব কি ক’রে ? ফিরে আসতে পারা যাবে, কিন্তু যাওয়া যাবে না। তবে মাছ চুরি করে কাজ নেই ভাই, বলিয়াই আমি দাড় তুলিয়া কেলিলাম। চক্ষের পলকে নৌকা পাক খাইয়া পিছাইয়া গেল। ইন্দ্র বিরক্ত হইয়া ফিসৃফিস্ করিয়া তর্জন করিয়া উঠিল—তবে এলি কেন ? চল তোকে ফিরে রেখে আলি– কাপুরুষ! তখন চোঁদ পার হইয়া পনরর পড়িয়াছি—আমাকে কাপুঞ্জৰ ? ృషి