পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রনাথ মণিশঙ্কর তাহার আপাদমস্তক বার বার নিরীক্ষণ করিয়া বলিলেন, কাশী থেকে কি আসছ বাপু ? অজ্ঞে হ্যা । দয়াল পাঠিয়েছে ? আজ্ঞে হঁ্যা । টাকার জন্য এসেচ ? আজ্ঞে হ্যা ? মণিশঙ্কর মৃদু হাসিয়া বলিলেন, তবে আমার কাছে কেন ? আমি টাকা দেব, তাই কি তুমি মনে করেচ ? লোকটি ঘাড় নাড়িয়া কহিল, না। দয়াল ঠাকুর ব’লে দিয়েছেন, আপনি টাকা পাবার সুবিধে ক’রে দিতে পারবেন। *. মণিশঙ্কর ভ্র-কুঞ্চিত করিয়া বলিলেন, পারব। তবে ভেতরে এস । দুইজনে নির্জন-কক্ষে দ্বার রুদ্ধ করিয়া বসিলেন । মণিশঙ্কর বলিলেন, সমস্ত তবে সত্য ? সমস্ত সত্য। এই বলিয়া সে কয়েকখানা পত্র বাহির করিয়া দিল । মণিশঙ্কর তাহা আগাগোড়া পাঠ করিয়া বলিলেন, তবে বউমার দোষ কি ? তার দোষ নেই, কিন্তু মায়ের দোষে মেয়েও দোষী হয়ে পড়েছে। তবে যার নিজের দোষ নেই, তাকে কি জন্য বিপদগ্ৰস্ত কবুচ ? আমারও উপায় নেই। টাকার জন্য সব করতে হয় । মণিশঙ্কর কিছুক্ষণ চিস্তা করিয়া বলিলেন, দেখ বাপু, এ দুর্নাম প্রকাশ পেলে আমারও অত্যন্ত লজ্জার কথা। চন্দ্রনাথ আমার ভ্রাতুপুত্র। রাখালদাস মাথা নাড়িয়া দৃঢ়ভাবে কহিল, আমি নিরুপায় । সে কথা তোমার দিকে তাকালেই জানা যায়। ধর, টাকা যদি আমি নিজেই দিই, তা হ'লে কি রকম হয় ? ভালই হয়। আর ক্লেশ স্বীকার ক’রে চন্দ্রনাথবাবুর নিকট যেতে হয় না। টাকা পেলেই তুমি গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে, আর কোন কথা প্রকাশ করবে না, এ নিশ্চয় ? নিশ্চয় । কত টাকা চাই ? অন্ততঃ দুই সহস্ৰ । মণিশঙ্কর বাহিরে গিয়া নায়েব লক্ষ্মীনারায়ণকে ডাকিয়া দুই-তিনটি কথা বলিয়া ❖ሣ ሤ Sit-8b.