বিপ্রদাস হবে । লজ্জা পাবার তুমি কিছুই করোনি, আমার কাছে তোমার কোন লজ্জা নেই! চাও, মুখ তোল, শোন আমার কথা । এ সেই আদেশ। বনানা মুখ তুলিয়া চাহিল, ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া বলিল, আপনি বোধ হয় আমার উপর খুব রাগ করেছেন, না মুখুয্যেমশাই ? বিপ্রদাস স্মিতমুখে বলিল, কিছুমাত্র না। একি রাগ করার কথা ? শুধু আমার মনের আশা এইটুকু যে, এ ভুল তোমার নিজের কাছেই একদিন ধরা পড়বে। কেবল সেইদিনই এর প্রতিকার হবে। কিন্তু ধরা যদি কোনদিন না পড়ে ? এ-কে ভুল বলেই যদি কোনদিন টের না পাই ? পাবেই। এর থেকে যে সংসারে কত অনর্থের স্বত্রপাত হয় এ যদি না বুঝতে পারে ত আমিও বুঝবো আমাকে তুমি ভালোবাসোনি । সুধীরকে ভালোবাসার মতো এ-ও তোমার একটা খেয়াল-মনের মধ্যে কাউকে টেনে এনে শুধু আপনাকে ভোলানে । তার বেশি নয় । বন্দনার মুখ মুহূৰ্ত্তে স্নান হইয়া উঠিল, অত্যন্ত ব্যথিত-কণ্ঠে বলিল, স্বধীরের সঙ্গে তুলনা করবেন না মুখুয্যেমশাই, এ আমি সইতে পারিনে। কিন্তু এর থেকে সংসারে যে অনর্থের সূত্রপাত হয়, আপনার এ কথা মানবো । মানবো যে, এ অমঙ্গল টেনে আনে, কিন্তু তাই বলে মিথ্যে স্বীকার করবো না । মিথ্যেই যদি হ’তো এতটুকু ভালোবাসাই কি আপনার পেতুম ? পাইনি কি আমি ? নিরুদ্ধ নিশ্বাসে বিপ্রদাস কথাগুলি শুনিতেছিল, জিজ্ঞাসা শেষ করিয়া বনান মুখ তুলিতেই সে চকিত হইয়া বলিয়া উঠিল, পেয়েচো বই কি বন্দন, তুমি অনেকখানিই পেয়েচে । নইলে তোমার হাতে আমি খেতুম কি করে ? তোমার রাত্রিদিনের সেবা নিতে পারতুম আমি কিসের জোরে ? কিন্তু তাই বলে কি মানির মধ্যে, অধৰ্ম্মের মধ্যে নিজে নেমে দাড়াবো, তোমাকে টেনে নামাবো ? যারা আমার পানে চেয়ে চিরদিন বিশ্বাসে মাথা উচু করে আছে সমস্ত ভেঙে চুরে তাদের হেট করে দেবো? এই কি তুমি বলে ? বন্ধন দৃপ্তম্বরে কহিল, তাহলে আপনিও স্বীকার করুন আজ ছাড়তে যা পারেন না সে শুধু এই দম্ভটাকে । বলুন সত্য করে ওদের কাছে এই বড় হয়ে থাকার মোহকেই আপনি বড় বলে জেনেচেন । নইলে কিসের গ্লানি মুখুয্যেমশাই— কাকে মানতে ষাবো আমরা অধৰ্ম্ম বলে ? মামুষের মনগড় একটা ব্যবস্থা—মামুযেই যাকে বারবার মেনেচে, বার বার ভেঙেচে-তাকেই ? আপনি পারলেও আমি এ পারবো না ? -- বিপ্রদাস গষ্ঠীর হইয়া বলিল, তুমি না পারলেও আমি পারবো, আর তাতেই չ * Պ
