পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বিপ্রদাস হাসিয়া কহিল, ফাজিলের অগ্রগণ্য হয়েচিস্তুই। কিন্তু আশ্চৰ্য্য করলি অক্ষয়বাবুর কথায় । তিনি যাবেন কি করে ? তার তে ছুটি নেই-কাজ কামাই হবে যে ? দ্বিজদাস বলিল, তা হবে ; কিন্তু লোকসান নেই-ওদিকে তার চেয়েও টেকু বড় কাজ হবে বড়-ঘরে মেয়ে দিতে পারাটা। টাকা-ওয়ালা জামাই ভবিষ্যতের অনেক ভরসা-কলেজের বাধা মাইনের অনেক বেশি। বিপ্রদাস রাগিয়া বলল, তোর কথাগুলো যেমন রূঢ় তেমনি কর্কশ। মামুষের সন্মান রেখে কথা কইতে জানিসনে ? দ্বিজদাস বলল, জানি কি-না বৌদিদিকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন। সৌজন্তের বাজে অপব্যয় করিনে শুধু এই আমার দোষ । শুনিয়া বিপ্রদাস না হাসিয়া পারিল না, বলিল তোর একটি সাক্ষী শুধু বৌদিদি। মাতালের সাক্ষী শুড়ী । দ্বিজদাস কহিল, তা হোক, আপনার কথাটাও ঠিক মধু-মাথা হচ্চে না দাদা। কারণ আমিও মাতাল নই, তিনিও মদের যোগান দেন না। দেন অমৃত, দেন গোপনে বহুলোকের অন্ন যা অনেক বড়লোক পারে না । বিপ্রদাস কহিল, তাদের পেরেও কাজ নেই। আদর দিয়ে দেওরকে অন্ধ করে তোলা ছাড়া বড়লোকদের অন্য কাজ আছে । বন্দন মুখ নীচু করিয়া হাসিতে লাগিল, দ্বিজদাস সেটা লক্ষ্য করিয়া বলিল, এ নিয়ে আর তর্ক করবো না দাদা। বৌদিদি আপনার নেই,- বাঙালীর ংসারে তার স্নেহ যে কি সে আপনি কোনদিন জানেন না । অন্ধকে আলো বোঝানোর চেষ্টায় ফল নেই। একটু হাসিয়া বলিল, বন্দন আড়ালে হাসচেন, কিন্তু মাসীর বাড়ির বদলে দিনকতক অামাদের বাড়িতে কাটিয়ে এলে হয়ত আমার কথাটা বুঝতেন। কিন্তু থাকগে এ-সব আলোচনা। আপনি কবে বাড়ি যাচ্চেন বলুন ? আমি বড় ক্লাস্ত দ্বিজু, মাকে বুঝিয়ে বলতে পারবিনে ? বিপ্রদাসের এমন নিজীব নিম্পূহ কণ্ঠস্বর সে কখনো শোনে নাই চমকিয়া চাহিয়া দেখিল ক্ষীণ হাসিটুকু তখনো ওষ্ঠ প্রান্তে লাগিয়া আছে -কিন্তু এ যেন তাহার দাদা নয় আর কেহ-বিস্ময় ও ব্যথায় অভিভূত হইয়া কহিল, অমুখ কি এখনো সারেনি দাদা ? না, সেরে গেছে । তবু মায়ের কাজে বাড়ি যেতে পারবেন না এ কথা মাকে বোঝাবো কি করে ? ভয় পেয়ে তিনি চলে আসবেন, তার সমস্ত আয়োজন লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। وين ج يخ