শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ চেয়েছেন, সত্যিই যদি যান ত কৃতাৰ্থ হবো। আমাদের সংসারে কী জার্মার"মl, উfর পক্ষ থেকে আপনাকে আমি সসম্মানে আমন্ত্রণ করঢ়ি । বিপ্রদাসের বিনয়-বচনে অশোক পুলকিত-fচত্তে বলিল, নিশ্চয় যাবে,--নিশ্চয় যাবো, কত দরিদ্র অনাথ আতুর আসবে নিমন্ত্রণ রাখতে, কত অধ্যাপক পণ্ডিত উপস্থিত হবেন বিদায় গ্রহণ করতে—আনন্দোৎসবে কত খাওয়া-দাওয়া, কত আসাযাওয়া, কত বিচিত্র আয়োজন— বিপ্রদাস হাসিয়া বলিল, সমস্ত বাড়ানো কথা অশোকবাবু, বন্দন শুধু রহস্ত করেচে | রহস্ত করে তাং লাভ কি বিপ্রদাসবাৰু ? একটা লাভ আমাদের অপ্রতিভ করা । বলরামপুরের মুখুযোদের ওপর সে মনে মনে চটা । দ্বিতীয় লাভ আপনাকে সে কোন ছলে বোম্বায়ে টেনে নিয়ে যেতে চায়। অশোক বলিল, প্রয়োজন হলে বোম্বাই পৰ্য্যস্ত আমাকে সঙ্গে যেতে হবে এ কথা আছে, কিন্তু মুখুয্যেদের পরে সে চটা, আপনাদের সে লজ্জিত করতে চায় এমন হতেই পারে না। কালও বলরামপুরে যাবার স্থির ছিল না, কিন্তু আপনাদের কথা নিয়েই ওর মাসীর সঙ্গে হয়ে গেল ঝগড়া। মাসী বললেন। বিপ্রদাসের মা সৰ্ব্বসাধারণের হিতার্থে যদি জলাশর খনন করিয়ে থাকেন ত তার প্রশংসা করি, কিন্তু ঘটা করে প্রতিষ্ঠা করার কোন অর্থ নেই,-ওটা কুসংস্কার। কুসংস্কারে যোগ দেওয়া আমি অন্যায় মনে করি । বন্দন বললেন,—ওঁর বড়লোক, বড়লোকদের কাজ-কৰ্ম্মে ঘটা তো হয়েই থাকে মাসীমা । তাতে আশ্চর্য্যের কি আছে ? অামার পিসীমা বললেন, বড়লোকের অপব্যয়ে আশ্চর্যের কিছু নেই মানি কিন্তু ও-তো কেবল ও ই নয়, ওটা কুসংস্কার । তোমার যাওয়াতেই আমার আপত্তি। বন্দন বললেন, আমি কিন্তু কুসংস্কার মনে করিনে মাসীমা । বরঞ্চ, এই মনে করি যে, যা জানিনে, জানার কখনো চেষ্টা করিনি, তাকে সরাসরি বিচার করতে যাওয়াই কুসংস্কার । ওর জবাব শুনে পিসীমা রাগে জলে গেলেন, জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার বাবার অনুমতি নিয়েচো ? বন্দন উত্তর দিলেন, বাবা বারণ করবেন না আমি জানি । দিদির ও স্বামী অসুস্থ, র্তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবার ভার পড়চে আমার ওপর । ভার দিলে কে শুনি ? তিনি নিজেই বোধ হয় ? প্রশ্ন শুনে বন্দনা যেন অবাক হয়ে চেয়ে রইলেন। আমার মনে হ’লো তার মাথায় দ্রুত রক্ত চড়ে যাচ্ছে, এবার হঠাৎ কি একটা বলে ফেলবেন, কিন্তু, সে-সব কিছুই করলেন না, শুধু আস্তে আস্তে বললেন, যে যা খুশি জিজ্ঞেস করলেই লে আমাকে জবাব দিতে হবে ছেলেবেলা থেকে এ-শিক্ষা আমার হয়নি মাসীম। পরশু সকালে মুখুয্যে እቅ8
