পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আমার ইচ্ছে করে না। বাবা, তুমি ভুলে যাবে না তো ? ন মা, তোমাকে আনতে ভুলে যাবো এমন কখন হয় ? এই বলিয়া সাহেব একটু হাসিলেন । বলিলেন, অশোক আসচেন । তাকে আজ একটা তার করে দেবো । বেশ ত বাবা, দাও না । & যাণী বলিলেন, আমিই জোর করে তাকে আনটি । দেখে, এলে যেন মা তাসম্মান হয় ! তোমার ভয় নেই মালীম, আমরা কারো অসম্মান করিনে। অশোকবাবু নিজেই জানেন । মেয়ের কথা শুনিয়া সাহেব প্রসন্নমুখে বলিলেন, অফিসের পথে আজই তাকে একটা টেলিগ্রাম করে দেবো বুড়ী। আজ শুক্রবার সোমবারেই সে এসে পৌছতে পারবে যদি না কোন ব্যাঘাত ঘটে । দরওয়ান ডাক লইয়া হাজির হইল । অসংখ্য সংবাদ-পত্র, নানা স্থানের চিঠিপত্রও কম নয়। কিছুদিন হইতে ডাকের প্রতি বদনার ঔৎসুক্য ছিল না। সে জনিত প্রতিদিন আশা করিয়া অপেক্ষ কর বৃথা । তাহাকে মনে করিয়া চিঠি লিখিবার কেহ নাই । চলিয়া যাইতেছিল, সাহেব ডাকিয়া বলিলেন, এই যে তোমার নামের দু-খানা। আপনারও একখানা রয়েচে মিসেস ঘোষাল । নিজের চেয়েও পরের চিঠিতে মাসীর কৌতুহল বেশি। মুখ বাড়াইয়া দেখিয়া বলিলেন, একথানা ত দেখচি অশোকের হাতের লেখা। ওটা কণর ? এই অকারণ প্রশ্নের উত্তর বন্দন দিল না, চিঠি দুখানা হাতে লইয়া নিজের ঘরে চলিয়া গেল । সাহেব মুচকিয়া হাসিয়া বলিলেন, অশোকের সঙ্গে দেখটি চিঠি-পত্র চলে। তার করে দিই সে আহক। ছেলেটি সত্যিই ভালো । তাকে বিশ্বাস না করলে বন্দন কখনও চিঠি লিখত না । প্রত্যুত্তরে মাপীও সগৰ্ব্বে একটু হাসিলেন। অর্থাৎ জানি আমি অনেক কিছুই । বিকালে অফিসের পথে হাজি-সাহেবের বাড়ি ঘূরিয়া রে-সাহেব একাকী ফিরিয়া আসিলেন। বন্দন সেখানে যায় নাই। মাসী স্বমুখেই ছিলেন, মুখ ভার করিয়া বলিলেন, বনানা চিঠি নিয়ে সেই যে নিজের ঘরে ঢুকোচ আর বার হয়নি । । সাহেব উদ্ধির মুখে প্রশ্ন করিলেন, খায়নি । לוג