পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রম গোবিন্দ। শুধু আসা কেন, ভাড়ার-টাড়ার, করা-কৰ্ম্ম যা কিছু তিনিই ত করচেন। আর তিনি না করলে করবেই বা কে ? { সকলেই নীরব হইয়া রহিল ] গোবিন্দ । ( নিশ্বাস ফেলিয়া ) না: গায়ের মধ্যে বড়গিল্পী-ঠাকরুণের মত মানুষ কি আর আছে ? না হবে ? না বেণীবাবু, সামনে বললে খোসামোদ করা হবে, কিন্তু যে যাই বলুক, গায়ে যদি লক্ষ্মী থাকেন ত সে তোমার মা। এমন ম কি কারু হয় ? এই বলিয়া পুনশ্চ একটা নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন ] বেণী । আচ্ছা— গোবিন্দ। শুধু আচ্ছ নয় বেণীবাবু। আসতে হবে, করতে হবে, সমস্ত ভার তোমার ওপর। ভাল কথা, সবাই আপনারা ত উপস্থিত আছেন, নেমস্তন্নটা কিরকম করা হবে একটা ফর্দ করে ফেলা হোক। কি বল রমেশ বাবাজী ? ঠিক কি না হালদার-মামা ? ধৰ্ম্মদাসদা চুপ করে থাকলে হবে না,—কাকে বলতে হবে, কাকে বাদ দিতে হবে জান ত সব । রমেশ । বড়দা, একবার পায়ের ধূলো যদি দিতে পারেন— বেণী । মা যখন এসেচেন তখন আমার আস না-আসা--কি বলেগোবিন্দ খুড়ে ? রমেশ । আপনাকে আমি পীড়াপীড়ি করতে চাইনে বড়দা, যদি অসুবিধে না হয় ত একবার দেখে-শুনে যাবেন । বেণী । সে ত ঠিক। আমার মা যখন এসেচেন তখন আমার আসা-না-আসা— কি বল হালদার-মামা ? তা মাকে একটু শীগগির যেতে বোলো রমেশ বিশেষ দরকারী কাজ, আমারও এখন দাড়াবার জো নেই—প্রজারা সব— [ বলিতে বলিতে বেণীর ক্রতপদে প্রস্থান] গোবিন্দ (নেপথ্যে গলা বাড়াইয়া দেখিয়া লইয়া) আরে বেণী, ঘোষাল ! তুই পাতায়-পাতায় বেড়াস ত আমি তার গিয়ে শিরে-শিরে ফিরি। আমার নাম গোধিপ। গাজুলী! নিজের চোখে দেখতে এসেচে মা এসেচে কি না। বুঝি না বটে ! ( রমেশের প্রতি ) আর দেখলে বাবা রমেশ, কেমন তোফা মিষ্টি মোলায়েম কথাগুলি শুনিয়ে দিলাম ! যেন মিছরির ছুরি। আর বলবার জো নেই যে কৰ্ম্মবাড়িতে গিয়ে খাতির পাইনি। লোকের কাছে যে বলে বেড়াবে, রমেশ না হয় ছেলেমানুষ, কিন্তু তার মামা গোবিন্দ গাজুলী ত উপস্থিত ছিল। বৃহৎ কাজে-কৰ্ম্মে কৰ্ম্ম-কৰ্ত্ত হয়ে থাকা সহজ ব্যাপার নয় বাবা, এক একটা চাল ভাবতে মাথা ঘুরে যায় ! ধর্শ্বাস। তুই বড় বকিস গোবিন্দ্র । থাম্ না ? ኟeማ