পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ध} বেশী। বাবা রে, মরে গেছি রে । সব শালা পালাল রে ! [গোবিনী ও দারোয়ানের প্রবেশ ] গোবিন্দ। (ইপিাইতে স্থাপাইতে ) পালাবো কেন বাবা, পালাইনি। ছুটে লোক ডাকতে গিয়েছিলাম। জগা শালা কি-রকম গুগু জান ত ? শালাকে ডাকাতি চার্জে পাচ বছর ঠেলে দেবো—তবে আমার নাম গোবিন্দ গাজুলী! দারোয়ান। (ইপিাইতে ইপিাইতে ) ইথ মে একঠো হাতিয়ার রুহতো ! বেশী। দূর হ শালা স্বমুখ থেকে। মেরে তক্তা বানিয়ে দিলে—(মাথায় হাত দিয়া দেখিয়া ) বাবা গো ! কি রক্ত পড়চে গো,--আর আমি বঁচিব না। [ বেণী শুইয়া পড়িল ] গোবিন্দ। ( ধরিয়া তুলিবার চেষ্টা করিয়া ) বাচবে, বাচবে। আমি নিজে তোমাকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাব। ( দারোয়ানের প্রতি ) ধর না শালা ছাতুখোর । শাল ভয়ে শিয়ালের মত ছুটে পালাল । দারোয়ান। কেয়া রে বাবুজি, বিন হাতিয়ার— [ উভয়ে বেণীকে তুলিয়া লইয়া প্রস্থান করিল ] छ्रुडॆौञ्ज श्]ि [ রমার শয়নকক্ষ । পীড়িত রমা শয্যায় শায়িত। সম্মুখে প্রাতঃস্থৰ্য্যালোক খোলা জানালার ভিতর দিয়া মেঝের উপর ছড়াইয়া পড়িয়াছে। বিশ্বেশ্বরী প্রবেশ করিলেন ] বিশ্বেশ্বরী। (অশ্রুভর কণ্ঠে ) আজ কেমন আছিস যুমা ? রমা । (একটু হাসিয়া ) ভাল আছি জ্যাঠাইমা । বিশ্বেশ্বরী। রাত্রে জরটা কি ছেড়েছিল ? রম । না। কিন্তু বোধ হয় শীগগির একদিন ছেড়ে যাবে। বিশ্বেশ্বরী। কাশিটা ? রম | কাশিটা বোধ করি তেমনি আছে । বিশ্বেশ্বরী। তবু বলিস্ ভাল আছিল মা ! [ রমা নিঃশব্দে হাসিল, বিশ্বেশ্বরী তাহার শিয়রে গিয়া বসিলেন এবং মাথায় হাত বুলাইয়া দিতে দিতে কহিলেন ] - বিশ্বেশ্বরী। তোর হাসি দেখলে মনে হয় মা, যেন গাছ থেকে ছেড়া ফুল দেবতার পায়ের কাছে হাসছে ! কুমা ? Rosť sمس-لجب