পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ থিয়েটারের স্টেজে যেমন পাহাড়-পৰ্ব্বত, ঝড়-জল এক নিমেযে উড়িয়া গিয়া একটা মস্ত রাজপ্রাসাদ কোথা হইতে আসিয়া জোটে, আর লোকজনের স্বর্থ-সম্পদের মাঝে দুঃখ-দৈন্যের সমস্ত চিহ্ন বিলুপ্ত হয়, শক্তিনাথের জীবনেও যেন সেইরূপ হইয়াছে। সে জাগিয়াছে, এখন ঘুমাইয়া মুখস্বপ্ন দেখিতেছে, কিংবা নিদ্রায় দুঃখস্বপ্ন দেখিতেছিল, এখন হঠাৎ জাগিয়া উঠিয়াছে, প্রথমে তাহার ভাল ঠাহর হইত না। তথাপি এই দায়িত্বহীন দেব-সেবার সুবর্ণ-শৃঙ্খল যে তাহার সর্বাদে জড়াইয়া ধরিয়াছে এবং থাকিয়া থাকিয়া ঝন ঝন শব্দে বাজিয়া উঠিতেছে, ঐ বিক্ষিপ্ত পুতুলগুলো মাঝে মাঝে সে কথা তাহাকে স্মরণ করাইত, সে মৃত পিতার কথা মনে করিত, নিজের পূর্ব স্বাধীনতার কথা ভাবিত ; মনে হইত সে যেন বিকাইয়া গিয়াছে, অপর্ণ তাহাকে কিনিয়াছে ; অমনি অপর্ণার স্নেহ ক্রমে মোহের মত তাহাকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল । অকস্মাৎ একদিন শক্তিনাথের মামাত ভাই আসিয়া উপস্থিত হইল, তাহার ভগিনীর বিবাহ। মামা কলিকাতায় থাকেন, সময় ভাল, কাজেই স্বথের দিনে ভাগিনেয়কে মনে পডিয়াছে। যাইতেই হইবে। কলিকাতা ষাইবে-কথাটা শক্তিনাথের খুব ভাল লাগিল। সমস্ত রাত্রি সে দাদার নিকট বসিয়া কলিকাতার স্বখের গর, শোভার কাহিনী, সমৃদ্ধর বিবরণ শুনিয়া মুগ্ধ হইয়া গেল। পরদিন মন্দিরে যাইতে তাহার ইচ্ছা হইল না । বেলা বাড়িতেছে দেখিয়া অপর্ণ ভাকিয়া পাঠাইল ; শক্তিনাথ গিয়া বলিল, আজ আমি কলকাতায় যাব- মামা ডেকে পাঠিয়েচেন—বলিয়াই সে একটু সঙ্কুচিত হইয়া দাড়াইল । অপর্ণ কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিল, পরে কহিল, কবে ফিরে আসবে ? শক্তিনাথ ভয়ে ভয়ে বলিল, মামা আসতে বললেই চলে আসব। অপর্ণ আর কিছু জিজ্ঞাসা করিল না। আবার সেই যদু আচার্ধ্য আসিয়া পূজা করিতে বসিলেন। আবার তেমনি করিয়া অপর্ণ পূজা দেখিতে লাগিল, কিন্তু কোন কথা বলিবার আর তাহার প্রয়োজন হইল না, ইচ্ছাও ছিল না। কলিকাতায় আলিয়া বিবিধ বৈচিত্র্যে শক্তিনাথের বেশ দিন কাটিলেও কয়েকদিন পরেই বাড়ির জন্য তাহার মন কেমন করিতে লাগিল । সুদীর্ঘ অলস দিনগুলো আর ধেন কাটিতে চাহে না। রাত্রে সে স্বপ্ন দেখিতে লাগিল, অপর্ণা যেন তাহাকে ক্ৰমাগত স্থাকিতেছে, আর উত্তর না পাইয়া রাগ করিতেছে । একদিন সে মামাকে कश्णि, अभि वांछि यांब ।। è sty