পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দননগরে আলাপ-সভায় "লেখার সময় যেন Transported হয়ে যাই । বাড়িতে বলে রেখে দিয়েছি— যখন লিখব, কেউ কিছু জিজ্ঞাসা ক'রো না। করলে যা উত্তর পাবে তা বিশ্বাস ক’রো না।” ( সকলের হাস্য )। “ ভাষা আপনি আসে। যার আসে না, তার বড় মুস্কিল। কি করে কথা যোগায়, তা বলাও মুস্কিল।" [ Style-এর কথায় ] “এই গৃঢ় ( )—এটাকেই না আপনার style বলেন? এটা নিজেরই হয়। অনুকরণ করে হয় না ।” [ সেই গোস্বামী মহাশয় পুৰ্ব্বাপর সমস্ত আলোচনা শ্রবণাস্তে সহসা আবার কহিলেন ] গোস্বামী—“আপনি মুখে যাই বলুন, আপনার লেখা পড়ে আমার মনে হয়, আপনি সনাতন ধর্মের মর্য্যাদা হানি করতে চাননি । যখন দেখি চরিত্রহীন? বইখানার সেই মেয়েটি স্টীমারের উপর একটি বালকের সহিত এক বিছানায়ু থেকেও নিজের দেহকে নষ্ট হতে দিল না, তখনও কি আমরা বলব—আপনি সনাতন ধৰ্ম্মটা মানেমনি ? আপনার অন্তরের অলৌকিক ধৰ্ম্মবিশ্বাসটাই কি ঐ মেয়েটির চরিত্ররক্ষার কারণ নয় ?” শরৎবাবু উত্তর করিলেন—“আপনি আমার উদেশ্বট ঠিক ধরতে পারেননি। আপনি যা বলছেন, ওভাবে আমি কিছুই করিনি। মেয়েটি যদি দেহ নষ্টই করত, তাতে আমার কিছু ক্ষতি ছিল না। কিন্তু ঐ চরিত্রটা একেবারে অসত্য হয়ে যেত । অমন লেখাপড়া-জানা স্বশিক্ষিত মেয়ে, আর ধে বালকের সঙ্গে সে কেবল একটা জিদের বশে পালিয়ে এলো, সে একটা অপোগণ্ড শিশু বললেই হয়, যাকে সে কোন দিক দিয়েই নিজের সমকক্ষ মনে করে না, তাকে দিয়েই যদি সে নিজের দেহটা নষ্ট হতে দিত তা হলে ও চরিত্রটাই মাটি হয়ে যেত।" অতঃপর শরৎবাবু বলিলেন—“এ আলোচনায় আনন্দ পেলুম। শুধু আমাদের জন্য নয়, এ-রকম আলোচনা-সভার একটি সত্যিকার প্রয়োজনও আছে। দেশটাকে কিভাবে বড় করে তোলা যায়, নানা লোকের নানা মত রয়েছে। মাঝে মাঝে এই রকম পাঠক ও লেখক জড় হয়ে বিভিন্ন চেষ্টায় একটা সামঞ্চস্ত করা দরকার। এতে লাভ আছে। আজকাল অনেকেই লিখছে ; কিন্তু তাদের অনেককেই ঠিক লেখক বলা চলে না। তাদের লেখায় সংযম দেখা যায় না। যৌন সম্বন্ধ নিয়ে তারা এমন একটা গোলমাল করছে যে, তাদের লেখা সাহিত্যপদবাচ্য কি-না সন্দেহ। এ-সমস্ত লেখার অধিকাংশই বাহির থেকে আমদানি করা। নিজেদের অভিজ্ঞতা নেই—তাই পরের ধার-করা জিনিস চালাতে গিয়ে একটা বিশ্ৰী কাগু করে וייטסו