বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশেষত্ব ও বিশ্ব হয়ে ডুবছি— আমার মধ্যে হে মহান, হে পবিত্র, তোমার প্রকাশ হোক, তা হলেই আমি চিরদিনের মতে রক্ষা পাব। হে প্রভু, পাহি মাং নিত্যং, পাহি মাং নিত্যম্। >S)> 。 বিশেষত্ব ও বিশ্ব আমার একটি পরমস্নেহাম্পদ ছাত্র আমাকে বলছিলেন, ‘কাল সন্ধ্যাবেলা যখন আমরা ঝড়বৃষ্টিতে মাঠে বেড়াচ্ছিলুম তখন আমার মনে কেবল এই একটা চিন্তা উঠছিল যে, প্রকৃতির মধ্যে এই-যে এত বড়ো একটা আন্দোলন চলছে আমাকে এ যেন দৃকপাতও করছে না— আমি যে একটা ব্যক্তি ও তার কোনো-একটা খবরও রাখছে না।’ আমি তাকে বললুম— সেইজন্তেই তো বিশ্বপ্রকৃতির উপরে পৃথিবীস্বদ্ধ লোক এমন দৃঢ় করে নির্ভর করতে পারে ; যে বিচারক কোনো বিশেষ লোকের উপর বিশেষ করে তাকায় না তারই বিচারের উপর সর্বসাধারণে আস্থা রাখে । এ উত্তরে আমার ছাত্রটি সন্তুষ্ট হলেন না। র্তার মনের ভাব এই যে, বিচারকের সঙ্গে তো আমাদের প্রেমের সম্বন্ধ নয়, কাজের সম্বন্ধ । আমার মধ্যে যখন একটি বিশেষত্ব আছে, আমি যখন ব্যক্তিবিশেষ, তখন স্বভাবতই সেই বিশেষত্ব একটি বিশেষ সম্বন্ধকে প্রার্থনা করে। যখন সেই বিশেষ সম্বন্ধকে পায় না তখন সে দুঃখ বোধ করে ; প্রকৃতির মধ্যে আমাদের সেই দুঃখ আছে। সে আমাকে বিশেষ ব্যক্তি বলে বিশেষভাবে মানে না। তার কাছে আমরা সকলেই সমান। আমি তাকে এই কথাটি বোঝাবার চেষ্টা করছিলুম যে, মানুষের

  • ՀԵ Ֆ