বিশেষত্ব ও বিশ্ব আমার অনেক দুঃখ নিবারণ হয়। কিন্তু, তা হবার জো নেই– লোহা সে লোহাই, কাঠ সে কাঠই, জলও সে জল। এইজন্যে লোহা-কাঠজলকে আমার জানা চাই— এবং তারা ব্যক্তিবিশেষের প্রয়োজন অস্থসারে আপনার ধর্মের কোনো ব্যতিক্রম করে না বলেই প্রত্যেক ব্যক্তি তাকে জানতে পারে। নিজের যথেচ্ছাঘটিত জগতের মধ্যে সমস্ত বাধা ও চেষ্টাকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে বাস করি নে বলেই বিজ্ঞান দশন শিল্পকলা ধর্মকর্ম যা-কিছু মানুষের সাধনের ধন সমস্ত সম্ভবপর হয়েছে । একটা কথা ভেবে দেখো, আমাদের বিশেষ ব্যক্তিত্বের প্রধান সম্বল যে ইচ্ছা সে ইচ্ছা কাকে চাচ্ছে । যদি আমাদের নিজের মনের মধ্যেই তার তৃপ্তি থাকত তা হলে মনের মধ্যে যা খুশি তাই বানিয়ে বানিয়ে তাকে স্থির করে রাখতে পারতুম । কিন্তু, ইচ্ছা তা চায় না। সে আপনার বাইরের সমস্ত-কিছুকে চায়। তা হলে আপনার বাইরে একটা সত্য পদার্থ কিছু থাকা চাই। যদি কিছু থাকে তবে তার একটা সত্য নিয়ম থাকা দরকার, নইলে তাকে থাকাই বলে না। যদি সেই নিয়ম থাকে তবে নিশ্চয়ই আমার ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছাকে সে সব সময়ে খাতির করে চলতেই পারে না । অতএব, দেখা যাচ্ছে, যে বিশ্বকে নিয়ে আমার বিশেষত্ব আনন্দিত সেই বিশ্বের কাছে তাকে বাধা পেতেই হবে, আঘাত পেতেই হবে। নইলে সে বিশ্ব সত্য বিশ্ব হত না ; সত্য বিশ্ব না হলে তাকে আনন্দও দিত না । ইচ্ছা যদি আপনার নিয়মেই আপনি বঁাচত, সত্যের সঙ্গে সর্বদা যদি তার যোগ ঘটবার দরকার না হত, তা হলে ইচ্ছা বলে পদার্থের কোনো অর্থই থাকত ন- তা হলে ইচ্ছাই হত না । সত্যকে સ્વાઝ૭ 跟
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৪
অবয়ব