বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“পিতার বোধ ঠিক সেই কথাই খাটে । .. সে দান তো আমাদের চলছেই, কিন্তু কী দান করছি এবং সেটা পেীচচ্ছে কোনখানে সে তো আমাদের দেখতে হবে। সারাদিন খেটেখুটে বাইরের জিনিস কুড়িয়ে-বাড়িয়ে যা-কিছু পাচ্ছি সে আমরা কার হাতে এনে জমা করছি ? সে তো সমস্তই দেখছি বাইরেই এসে জমছে । টাকাকড়ি ঘরবাড়ি সে তো এই বাইরের মানুষের । কিন্তু, নিজেকে এই-যে আমরা দান করছি— এই-যে আমার চেষ্টা, এই-যে আমার সমস্তই, এ কি পূর্ণদান হচ্ছে ? শ্রদ্ধার দান হচ্ছে? ধর্মের দান হচ্ছে ? এতে করে আমরা বাড়াচ্ছি, কিন্তু বড়ো হতে পারছি কি ? এতে করে আমরা সুখ পাচ্ছি, কিন্তু আনন্দ পাচ্ছি নে ; এতে করে তো আমাদের প্রকাশ পরিপূর্ণ হতে পারছে না। মাহষ বললে যতখানি বোঝায় ততখানি তো ব্যক্ত হয়ে উঠছে না । কেন এমন হচ্ছে ? কেননা, এই দানে মস্ত একটা অশ্রদ্ধা আছে । এই দানের দ্বারা আমরা নিজেকে প্রতিদিন অশ্রদ্ধা করে চলেছি। আমরা নিজের কাছে যে অর্ঘ্য বহন করে আনছি তার দ্বারাই আমরা স্বীকার করছি যে, আমার মধ্যে বরণীয় কিছুই নেই। আমাদের যে আত্মপূজা সে একেবারেই দেবতার পূজা নয়, সে অপদেবতার পূজা— সে অত্যন্ত অবজ্ঞার পূজা । আমাদের যা অপবিত্র তাই দিয়েও আমরা নৈবেদ্যকে ভরিয়ে তুলছি। নিজেকে যে লোক কেবলই ধন মান জোগাচ্ছে সে লোক নিজের সত্যকে কেবলই অবিশ্বাস করছে, সে আপনার অস্তরের মাতুষকে কেবলই অপমান করছে ; তাকে সে কিছুই দিচ্ছে না, কিছু দেবার যোগ্যই মনে করছে না। এমনি করে সে নিজেকে কেবল অর্থই দিচ্ছে, ՀԵ-Շ> So