বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন ঘনশ্রাবণমেঘের মতো রসের ভারে নম্র নত । সমস্ত মন থাকু পড়ে থাক তব ভবনদ্বারে একটি নমস্কারে প্রভু, একটি নমস্কারে । নানা স্বরের আকুল ধারা মিলিয়ে দিয়ে আত্মহারা সমস্ত গান সমাপ্ত হোক নীরব পারাবারে একটি নমস্কারে প্রভু, একটি নমস্কারে । হংস যেমন মানসযাত্রী তেমনি সারা দিবসরাত্রি সমস্ত প্রাণ উড়ে চলুক মরণপরপারে একটি নমস্কারে প্রভু, একটি নমস্কারে । ১১ মাঘ ১৩১৮ স্বষ্টির অধিকার দিন তো যাবেই— এমনি করেই তো দিনের পর দিন গিয়েছে । কিন্তু, সব মানুষেরই ভিতরে এই একটি বেদন রয়েছে যে, যেটা হবার সেটা হয় নি। দিন তো যাবে, কিন্তু মানুষ কেবলই বলেছে, “হবে, আমার ষা হবার তা আমাকে হতেই হবে, এখনও তার কিছুই হয় নি।” তাই যদি না হয়ে থাকে তবে মানুষ আর কিসে মানুষ, পশুর সঙ্গে তার পার্থক্য কোথায় ? পশু তার প্রাত্যহিক জীবনে তার যে-সমস্ত প্রবৃত্তি রয়েছে তাদের চরিতার্থতা সাধন করে যাচ্ছে, তার মধ্যে তো কোনো বেদনা নেই। এখনও যা হয়ে ওঠবার তা হয় নি এ কথা তো তার কথা নয়। কিন্তু, মানুষের জীবনের সমস্ত কর্মের ভিতরে ভিতরে এই বেদনাটি রয়েছে— হয় নি, যা হবার তা হয় নি। কী হয় নি ? আমি \Oo 8