বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাক্টর অধিকার জীর্ণ বোঝার মধ্যে একদিন কি এমনি ভাবেই জীবন পরিসমাপ্ত হবে ? অভ্যাস, অভ্যাস । তারই জড় স্তপের নীচে তলিয়ে যাচ্ছি— তারই উপরে যে আমাদের একদিন ঠেলে উঠতে হবে সেই কথাটিই ভুলে যাচ্ছি। মলিনতার উপর কেবলই মলিনতা জমা হচ্ছে, অভ্যাসকে কেবলই বেড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে, এমনি করে নিজের কৃত্রিমতার বেড়ার মধ্যে সংকীর্ণ জায়গায় আমরা আবদ্ধ হয়ে রয়েছি— বিশ্বভুবনের আশ্চর্য লীলাকে দেখতে পাচ্ছি না। দেখবার বেলা দেখি— উপকরণ, আসবাব, বাধা নিয়মে জীবনযন্ত্রের চাকা চালানো । তার আলো আর ভিতরে আসতে পথ পায় না ; ওই-সব জিনিসগুলো আড়াল হয়ে দাড়ায়। তিনি আমাদের কাছে আসবেন বলে বলে দিয়েছেন, ‘তুমি তোমার আসনখানি তৈরি করে দাও, আমি সেই আসনে বসব, তোমার ঘরে গিয়ে বসব। অথচ আমরা যা-কিছু আয়োজন করছি সে-সব নিজের জন্যে। তাকে বাদ দিয়ে বসেছি। জগৎ জুড়ে শু্যামল পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যের মধ্যে তিনি আপনাকে বিকীর্ণ করে রয়েছেন— কেবল একটুখানি কালো জায়গা— আমাদের হৃদয়ের সেই কালো কলঙ্কেমলিন ধূলিতে-আচ্ছন্ন সেই একটুমাত্র কালো জায়গাতে র্তার স্থান হয় নি, সেইখানে তাকে আসতে নিষেধ করে দিয়েছি। সেই জায়গাটুকু আমার ; সেখানে আমার টাকা রাখব, আসবাব জমাব, ছেলের জন্ত বাড়ির ভিত কাটব। সেখানে তাকে বলি, “তোমাকে ওখানে যেতে দিতে পারব না, তোমাকে ওখান থেকে নির্বাসিত করে দিলুম।" তাই এই এক আশ্চর্য ব্যাপার দেখছি যে, যে মানুষ সকলের চেয়ে বড়ো, যার মধ্যে ভূমার প্রকাশ, সেই মানুষেরই কি সকলের চেয়ে অকৃতাৰ্থ হবার শক্তি হল ? অামাদের যে সেই শক্তি তিনিই দিয়েছেন। তিনি Woo a