বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাস্তানকেতন কিন্তু, শিল্পী কেবলমাত্র রেখার সৌন্দর্য নিল ; কবি সুর নিল, রস নিল । এরা কেউই সব নিতে পারল না। সব নিতে পারা যায় একমাত্র সমস্ত জীবন দিয়ে। তারই জিনিস র্তার সঙ্গে মিলে নিতে হবে । জীবনকে তার অমৃতরসে কানায় কানায় পূর্ণ করে যেদিন নিবেদন করতে পারব সেদিন জীবন ধন্ত হবে । তার চেয়ে বড়ো নিবেদন আর কী আছে । আমরা তো'ত পারি না । তার নৈবেদ্য থেকে সমস্ত চুরি করি, কৃপণত করে বলি নিজের জন্য সবই নেব কিন্তু তাকে দেবার বেলা উদত্তমাত্র দিয়ে নিশ্চিন্ত হব । তাকে সমস্ত নিবেদন করে দিতে পারলে সব দরকার ভরে যায়, সব অভাব পূর্ণ হয়ে যায়। তাই বলছি, আজ সেই জীবনের পরিপূর্ণ নিবেদনের দিন । আজ বলবার দিন, ‘তুমি আমাকে তোমার আসনের পাশে বসিয়েছিলে, কিন্তু আমি ভুলেছিলুম, আমি সব জুড়ে নিজেই বসেছিলুম। তোমার সঙ্গে বসব এ গৌরব ভুলে গেলুম। তোমাতে আমাতে মিলে বসবার যে অপরূপ সার্থকতা এ জীবনে কি তা হবে না ? অাজ এই কথা বলব, ‘আমার আসন শূন্ত রয়ে গেছে। তুমি এসে, তুমি এসে, তুমি এসে একে পূর্ণ করো। তুমি না এলে আমার এই গৌরবে কাজ কী ! আমার ধুলোর মধ্যে ভিক্ষুকের মতো পড়ে থাকা যে ভালো । হায় হায়, ধুলোবালি নিয়ে বাস্তবিকই এই-যে খেলা করছি এই কি আমার স্বষ্টি ! এই স্থষ্টির কাজের জন্যেই কি আমার জীবনের এত আয়োজন হয়েছিল । মাঝে মাঝে কি পরম দুঃখে পরম আঘাতে এগুলো ভেঙে যায় নি । খেলাঘর একটু নাড়া দিলেই পড়ে যায়। কিন্তু, তোমাতে আমাতে মিলে যে স্বষ্টি তা কি একটু ফুয়ে এমনি করে পড়ে যেতে পারে!” খেলাঘর কত যত্ন করেই গড়ে তুলি । যেদিন আঘাত দিয়ে ج: لا ت\