স্বাক্টর অধিকার ভেঙে দেন সেদিন দেখিয়ে দেন যে, তাকে বাদ দিয়ে একলা স্বষ্টি করবার কোনো সাধ্য আমাদের নেই। সেদিন কেঁদে উঠে আবার ভুলি, আবার ছিদ্র ঢাকবার চেষ্টা করি— এমনি করে সব ব্যর্থ হয়ে যায়। সব কৃত্রিমতা দূর করে দিয়ে আজ এক দিনের জন্য দরজা খুলে ডাকি, ‘হে আমার চিরদিনের অধীশ্বর, তোমাকে এক দিনের জন্যেই ডাকলুম। এই জীবনে শেষ নয়, এই পৃথিবীতেও শেষ নয়, আমি যে তোমার দর্শনার্থে তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছি। ঘুরেই চলেছি, দেখা মেলে নি । আজ সব রুদ্ধতার মধ্যে একটু ফাক করে দিলেম, দেখা দিয়ে । অপরাধ তুমি যদি ক্ষমা না কর, পরমানন্দের কণা একটিও যদি না দাও, তবু এ কথা বলতে পারব না, ওগো আমি পারলুম না। আমি ক্লাস্ত অক্ষম, দুর্বল, আমি জবাব দিলুম, আমার সব পড়ে রইল, এ কথা বলব না। তোমার জন্য দুঃখ পেলেম এই কথা জানাবার স্থখ যে তুমিই দেবে। দুঃখ আমার নিজের জন্য পেলে খেদের অবসান থাকে না । হে বন্ধু, তোমার জন্য বড়ো দুঃখ পেয়েছি এ কথা বলবার অধিকার দাও । সমস্ত সংসারের দীর্ঘপথ দুঃখের বোঝা বয়ে এসেছি, আজ দিলুম তোমার পায়ে ফেলে। তুমি যে আনন্দ, তুমি যে অমৃত, এই কথাটি আজ স্মরণ করব । সেই স্মরণ করবার দিনই এই মহোৎসবের দিন ।’ অসতো মা সদগময় । অসত্যে জড়িয়ে আছি, তোমার সঙ্গে মিললে তবে সত্য হব । তোমার সঙ্গে সত্যে মিলন হবে, জ্ঞানের জ্যোতিতে মিলন হবে । মৃত্যুর পথ মাড়িয়ে অমৃতলোকে মিলন হবে। বিশ্বজগৎকে তোমার প্রকাশ যেমন প্রকাশিত করছে তেমনি আমার জীবনকে করবে । ওঁ শাস্তি: শান্তিঃ শান্তি; হরিঃ ওঁ । . ১১ মাঘ ১৩২০ S為や、
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৪
অবয়ব