ছোটো ও বড়ো কিন্তু একটি অখণ্ডতার বোধ আপনিই থেকে যাচ্ছে ; সেই অখণ্ডতার বোধের মধ্যেই আমরা সমস্ত পরিবর্তন সমস্ত গতায়াত সত্ত্বেও বন্ধুকে বন্ধু বলে জানছি, নিরস্তর সমস্ত চলে যাওয়াকে পেরিয়ে থেকে যাওয়াটাই আমাদের বোধের মধ্যে বিরাজ করছে । বন্ধুকে বাইরের বোধের মধ্যে আমরা খণ্ড খণ্ড করে দেখছি ; কখনো আজ কখনো পাচ দিন পরে, কখনো এক ঘটনায় কখনো অন্ত ঘটনায়, তার সম্বন্ধে আমার বাইরের বোধটাকে জড়ো করে দেখলে তার পরিমাণ অতি অল্পই হয় ; অথচ অস্তরের মধ্যে তার সম্বন্ধে যে একটি নিরবচ্ছিন্ন বোধের উদয় হয়েছে তার পরিমাণের আর অস্ত নেই, সে আমার সমস্ত প্রত্যক্ষ জানার কুল ছাপিয়ে কোথায় চলে গেছে। যে কাল গত সে কালও তাকে ধরে রাখে নি, যে কাল সমাগত সে কালও তাকে ঠেকিয়ে রাখে নি, এমন কি, মৃত্যুও তাকে আবদ্ধ করে নি। বরঞ্চ আমার বন্ধুকে ক্ষণে ক্ষণে ঘটনায় ঘটনায় যে ফাক র্যগক করে দেখেছি সেই সীমাবচ্ছিন্ন দেখাগুলিকে স্বনির্দিষ্টভাবে মনে আনতে চাইলে মন হার মানে— কিন্তু, সমস্ত খণ্ড জানার সীমাকে সকল দিকে পেরিয়ে গিয়ে আমার বন্ধুর যে একটি পরম অনুভূতি অসীমের মধ্যে নিরস্তরভাবে উপলব্ধ হয়েছে সেইটেই সহজ ; কেবল সহজ নয়, সেইটেই আনন্দময় । আমাদের প্রিয়জনের সমস্ত অনিত্যতার সীমা পূরণ করে তুলেছে এমন একটি চিরন্তনকে যেমন অনায়াসে যেমন আনন্দে আমরা দেখি তেমনি করেই যারা আপনার সহজ বিপুল বোধের দ্বারা সংসারের সমস্ত চলার ভিতরকার অসীম থাকাটিকে একান্ত অহুভব করেছেন তারাই বলেছেন : এষাত পরম গতিঃ । এযাস্ত পরম সম্পৎ ! এয়োহক পরমো লোকঃ ! এযোহন্ত পরম আনন্দঃ ! এ তো জ্ঞানীর তত্ত্বকথা নয়, এ.যে আনন্দের নিবিড় \రి: ) ఛ ミ>
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২
অবয়ব