ছোটো ও রড়ে মতেই এ কথা আমাদের জানতে দেয় ন যে, অনস্তকে একান্তভাবে আপনার মধ্যে এবং সমস্তের মধ্যে প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করা যায়। এইজষ্ঠে অনন্তস্বরূপ যেখানে আমাদের ঘর ভরে পৃথিবী জুড়ে আপনি দেখা দিলেন সেখানে আমরা বলে বসলুম, বুঝতে পারি নে, দেখতে পেলুম না। ওরে, বোঝবার আছে কী ? এই-যে এষঃ, এই-যে এই । এই-বে চোখ জুড়িয়ে গেল ; প্রাণ ভরে গেল, এই-ষে বর্ণে গন্ধে গীতে নিরস্তর আমাদের ইন্দ্রিয়বীণায় তার হাত পড়ছে ; এই-যে স্নেহে প্রেমে সখ্যে আমাদের হৃদয়ে কত রঙ ধরে উঠেছে, কত মধু ভরে উঠছে ; এই-যে দুঃখরূপ ধরে অন্ধকারের পথ দিয়ে পরম কল্যাণ আমাদের জীবনের সিংহদ্বারে এসে আঘাত করছেন, আমাদের সমস্ত প্রাণ কেঁপে উঠছে, বেদনায় পাষাণ বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে ; আর ওই-যে র্তার বহু অশ্বের রথ, মানুষের ইতিহাসের রথ, কত অন্ধকারময় নিস্তব্ধ রাত্রি এবং কত কোলাহলময় দিনের ভিতর দিয়ে বন্ধুর পন্থায় যাত্রা করেছে, তার বিদ্যুৎশিখাময়ী কষা মাঝে মাঝে আকাশে ঝলকে ঝলকে উঠছে— এই তো এষঃ, এই তো এই । সেই এইকে সমস্ত জীবন মন দিয়ে আপন করে জানি, প্রত্যহ প্রতি দিনের ঘটনার মধ্যে স্বীকার করি এবং উৎসবের দিনে বিশ্বের বাণীকে বিজয়কণ্ঠে নিয়ে তাকে ঘোষণা করি— সেই সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্রহ্ম', সেই শাস্তং শিবমদ্বৈতং, সেই ‘কবিৰ্মনীষী পরিভূঃ স্বয়ম্ভুঃ', সেই-যে এক অনেকের প্রয়োজন গভীরভাবে পূর্ণ করছেন, সেইযে অন্তহীন জগতের আদি-অন্তে-পরিব্যাপ্ত, সেই-যে মহাত্মা সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট’, র্যার সঙ্গে শুভযোগে আমাদের বুদ্ধি শুভবুদ্ধি হয়ে ওঠে । । † . . . . ." * * নিখিলের মাঝখানে যেখানে মানুষ তাকে মানুষের সম্বন্ধে ডাকতে \35 4" | V13"/A—a Luam a ... |.
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৬
অবয়ব