ছোটো ও বড়ো গিয়ে বসিয়ে রাখে সেখানে আমাদের পূজা পৌঁছতেই পারে না, অথবা পৌছতে গিয়ে তার সমস্ত রস শুকিয়ে যায়। এ কথা তখন মানুষ ভুলে যায় যে, অসীমকে কেবলমাত্র ছোটো করলেও যেমন তাকে মিথ্যা করা হয় তেমনি তাকে কেবলমাত্র বড়ে করলেও তাকে মিথ্যা করা হয় ; তাকে শুধু ছোটো করে আমাদের বিকৃতি, তাকে শুধু বড়ো করে আমাদের শুষ্কতা । , .. অনন্তং ব্রহ্ম। অনন্ত বলেই ছোটো হয়েও বড়ো এবং বড়ো হয়েও ছোটো । তিনি অনস্ত বলেই সমস্তকে ছাড়িয়ে আছেন এবং অনন্ত বলেই সমস্তকে নিয়ে আছেন । এইজন্যে মানুষ যেখানে মানুষ সেখানে তো তিনি মানুষকে ত্যাগ করে নেই । তিনি পিতামাতার হৃদয়ের পাত্র দিয়ে আপনিই আমাদের স্নেহ দিয়েছেন, তিনি মাছুষের গ্ৰীতির আকর্ষণ দিয়ে আপনিই আমাদের হৃদয়ের গ্রন্থি মোচন করেছেন ; এই পৃথিবীর আকাশেই তার যে বীণা বাজে তারই সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের তার এক স্বরে বাধা ; মানুষের মধ্য দিয়েই তিনি আমাদের সমস্ত সেবা গ্রহণ করছেন, আমাদের কথা শুনছেন এবং শোনাচ্ছেন ; এইখানেই সেই পুণ্যলোক সেই স্বৰ্গলোক যেখানে জ্ঞানে প্রেমে কর্মে সর্বতোভাবে র্তার সঙ্গে আমাদের মিলন ঘটতে পারে। অতএব, মানুষ যদি অনন্তকে সমস্ত মানবসম্বন্ধ হতে বিচ্যুত করে জানাই সত্য মনে করে তবে সে শূন্ততাকেই সত্য মনে করবে। আমরা মানুষ হয়ে জন্মেছি যখনই এ কথা সত্য হয়েছে তখনই এ কথাও সত্য, অনন্তের সঙ্গে আমাদের সমস্ত ব্যবহার এই মাহুষের ক্ষেত্রেই ; মানুষের বুদ্ধি, মামুষের প্রেম, মামুষের শক্তি নিয়েই । এইজন্তে ভূমার আরাধনায়ু মানুষকে দুটি দিক বঁচিয়ে চলতে হয় । এক দিকে নিজের মধ্যেই সেই ভূমার আরাধনা ¥U ጓ
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৮
অবয়ব