শান্তিনিকেতন নির্দিষ্ট স্থানে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যে তো পাওয়া যাবে না— স্বার্থবন্ধন মোচন করতে করতে, মঙ্গলকে সাধন করতে করতেই তাকে পাওয়া— আপনাকে নিয়ত দানের দ্বারাই , তাকে নিয়ত পাওয়া । 尊 মানুষ এমনি করেই তো আপনার মনের মানুষের সন্ধান করছে— এমনি করেই তো তার সমস্ত দুঃসাধ্য সাধনার ভিতর দিয়েই যুগে যুগে সেই মনের মানুষ প্রত্যক্ষ হয়ে উঠছে ; যতই তাকে পাচ্ছে ততই বলছে, “আমি কোথায় পাব তারে ? সেই মনের মানুষকে নিয়ে মানুষের মিলন বিচ্ছেদ একাধারেই ; তাকে পাওয়ার মধ্যেই তাকে নাপাওয়া । সেই পাওয়া না-পাওয়ার নিত্য টানেই মানুষের নব নব ঐশ্বৰ্য-লাভ, জ্ঞানের অধিকারের ব্যাপ্তি, কর্মক্ষেত্রের প্রসার— এক কথায় পূর্ণতার মধ্যে অবিরত আপনাকে নব নব রূপে উপলব্ধি । অসীমের সঙ্গে মিলনের মাঝখানেই এই-যে একটি চিরবিরহ আছে এ বিরহ তো কেবল রসের বিরহ নয়, কেবল ভাবের দ্বারাই তো এর পূর্ণতা হতে পারে না। জ্ঞানে কর্মেও এই বিরহ ; মানুষকে ডাক দিয়েছে ; ত্যাগের পথ দিয়ে মানুষ অভিসারে চলেছে । জ্ঞানের দিকে, শক্তির দিকে, প্রেমের দিকে যে দিকেই মানুষ বলেছে, “আমি চিরকালের মতে পোঁচেছি— আমি পেয়ে রসে আছি”— এই বলে যেখানেই সে তার উপলব্ধিকে নিশ্চলতার বন্ধন দিয়ে বাধতে চেয়েছে, সেইখানেই সে কেবল বন্ধনকেই পেয়েছে, সম্পদকে হারিয়েছে ; সে সোনা ফেলে আঁচলে গ্রন্থি দিয়েছে। এই-যে তার চিরকালের গান— . . . . . আমি কোথায় প্লাব তারে . f : S SSBBB SBBBB BBB BB BBS \ 2\bs:
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৩
অবয়ব