বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটাে ও বড়ে এই প্রশ্ন যে তার চিরদিনের প্রশ্ন— মনের মানুষ যেখানে বলে কোন সন্ধানে যাই সেখানে! কেননা, সন্ধান এবং পেতে থাকা এক সঙ্গে ; যখনই সন্ধানের অবসান তখনই উপলব্ধির বিকৃতি ও বিনাশ । এই মনের মানুষের কথা বেদমন্ত্রে আর-এক রকম করে বল! হয়েছে। তাকে বলেছে : পিতা নোহসি । তুমি আমাদের পিতা হয়ে আছ। পিতা যে মানুষের সম্বন্ধ— কোনো অনন্ত তত্ত্বকে তো পিতা বলা যায় না । অসীমকে যখন পিতা বলে ডাকা হল তখন তাকে আপন ঘরের ডাকে ডাকা হল, এতে কি কোনো অপরাধ হল ? এতে কি সত্যকে কোথাও খাটো করা হল ? কিছুমাত্র না । কেননা, আমার ঘর ছেড়ে তিনি তো শূন্ততার মধ্যে লুকিয়ে নেই। আমার ঘরটিকে তিনি যে সকল রকম করেই ভরেছেন। মাকে যখন মা বলেছি তখন পরম-মাতাকে ডাকবার ভাষাই যে অভ্যাস করেছি— মানুষের সকল সম্বন্ধের ভিতর দিয়েই যে তার সঙ্গে আনাগোনার দরজা একটি একটি করে খোলা হয়েছে— মানুষের সকল সম্বন্ধের ভিতর দিয়েই যে আমরা এক-এক ভাবে অসীমের স্পর্শ নিয়েছি। আমার সেই ঘর-ভরা অসীমকে, আমার সেই জীবন-ভরা অসীমকে আমার ঘরের ডাক দিয়েই ডাকতে হবে ; আমার জীবনের ডাক দিয়েই ডাকতে হবে । সেইটেই আমার চরম ডাক । সেইজন্যেই আমার ঘর, সেইজন্যেই আমি মানুষ হয়ে জন্মেছি; সেইজন্তেই আমার জীবনের যত-কিছু জান, যত-কিছু পাওয়া। তাই তো মানুষ এমন সাহসে সেই অনন্ত জগতের বিধাতাকে ডেকেছে : পিতা নোহসি তুমি আমারই পিতা, তুমি আমারই ঘরের এড়াক ס\סיס\ ,