বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ান্তিনিকেতন পোষ্যপুত্র যারা তারা সংসারের ধর্ম গ্রহণ করে ; সে ধর্ম— যে সবল সে দুর্বলের উপর প্রভুত্ব করবে। কিন্তু, মানুষ যে সংসারের পুত্র নয়, সে যে অমৃতের পুত্র। সেইজন্য তাকে নিজের গদা দিয়ে স্বার্থের ধর্ম, যা তার পরধর্ম, তাকে ধূলিসাৎ করতে হবে। এ সংগ্রাম মানুষকে করতেই হবে । যা জমিয়েছে তাকে চিরকালই আঁকড়ে ধরে রাখবে এ কেমন মমতা ? যেমন দেহের প্রতি আমাদের মমতা। আমরা কি হাজার চেষ্টা করলেও দেহকে রাখতে পারি ? যতই কেঁদে মরি-না কেন, যতই বলি-না কেন যে তার সঙ্গে অনেক দিন ধরে আমার সম্বন্ধ— তাকে রাখতে পারব না, কারণ তাকে রক্ষা মানেই মৃত্যুকে ধরে রাখা । আমাদের যে দেহকে ত্যাগ করে মৃত্যুকেই মারতে হয়। তেমনি বাপ-পিতামহ থেকে যা চলে আসছে, যা জমে রয়েছে, তাকে চিরকাল ধরে রাখবার ইচ্ছাও মৃত্যুকে ধরে রাখবার ইচ্ছামাত্র। দেহকে রাখতে পারলুম না, পুরাতনকেও রাখতে পারব না। , - ইতিহাসবিধাতা তাই বললেন— নতুন হতে হবে। কামানের গর্জনে আজ সেই বাণীই শুনতে পাচ্ছি— নতুন হতে হবে । জাতীয়তার আদর্শকে নিয়ে যুরোপ এতকাল ধরে তার প্রতাপকে অভ্ৰভেদী করে তুলেছে । ছোটো জাহাজ ছিল, তার পর বড়ো জাহাজ, তার পর বড়ো জাহাজ থেকে আরও বড়ো জাহাজ । কামান ছোটো ছিল, তা থেকে আরও বড়ো কামান গড়ে তুলে যুরোপ তার মারণ-অস্ত্র সব এতকাল বসে শানিয়েছে । জলে স্থলে এই-সব ব্যাপার করে তুলে তার তৃপ্তি হল না— আকাশে পর্যন্ত মারবার যন্ত্র তাকে তৈরি করতে হল । নিজের প্রতাপকে এমনি করে অভ্ৰভেদী করে সে দুর্বলকে টিপে তার রক্ত পান করবে, এমন কথা কি সে বলতে 亨 \O8&o