বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতের পুত্র পারে ? মানুষ মানুষকে খেয়ে বঁাচবে, এই হবে ? ইতিহাসবিধাতা! তাই হতে দেবেন ? না । তিনি কামানের গর্জনের ধ্বনির ভিতর দিয়ে বলেছেন— নতুন হতে হবে । যুরোপে নতুন হবার সেই ডাক উঠেছে । সেই আহবান আমাদের মধ্যে নেই ? আমরাই জরাজীর্ণ হয়ে থাকব ? ইতিহাসবিধাতা কি আমাদেরই আশা ত্যাগ করেছেন ? দুৰ্গতির পর দুর্গতি, দুঃখের পর দুঃখ দিয়ে তিনি আমাদের দেশকে বলছেন, না হয় নি, তোমাদেরও হয় নি, নতুনকে লাভ অমৃতকে লাভ হয় নি। তুমি যে আবর্জনাস্তপ জমিয়েছ তা তোমাকে আশ্রয় দিতে পারে নি। আমি অনন্ত প্রাণ, আমায় বিশ্বাস করে । বীর পুত্র, দুঃসাহসিক পুত্র সব, বেরিয়ে পড়ে । এই বাণী কি আসে নি ? এ কথা তিনি শোনান নি ?— শৃশ্বস্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রা: আ যে ধামানি দিব্যানি তস্থঃ। শোনে, তোমরা অমৃতের পুত্র, তোমরা দিব্যধামবাসী। তোমাদের এই অন্ধকারের মধ্যে সেই পরপর থেকে আলোক আসছে। সেইখান থেকে যে আলোক আসছে তাতে জাগ্রত হও— বসে বসে চকমকি ঠুকলে দিনকে স্বষ্টি করতে পারবে না। সেই আলোকে যে নব নক দিন অমৃতের বার্তা নিয়ে আসছে। নব নব লীলায় সব নূতন নূতন হয়ে উঠছে। দুঃখের ভিতর দিয়ে আনন্দ আসছে, রক্তস্রোতের উপর জীবনের শ্বেত শতদল ভেসে উঠছে। #. সেই অমৃতের মধ্যে ডুব দাও— তবেই হে বৃদ্ধ, কাননে যে ফুল এইমাত্র ফুটেছে তুমি তার সমবয়সী হবে ; আজ ভোরে পূর্বাশার কোলে Qፀግ