শান্তিনিকেতন যে তরুণ সূর্যের জন্ম হয়েছে, হে প্রবীণ, তোমার বয়স তার সঙ্গে মিলবে । বেরিয়ে এসো সেই আনন্দলোকে, সেই মুক্তির ক্ষেত্রে। ভেঙে ফেলে বাধাবিপত্তিকে। নিত্যনূতনের অমৃতলোকে বেরিয়ে এসো। সেই অমৃতসাগরের তীরে এসে অকুলের হাওয়া নিই, সত্যকে দেখি । সত্যকে নির্মক্ত আলোকের মধ্যে দেখি। সেই সত্য যা নিশীথের সমস্ত তারকার প্রদীপমালা সাজিয়ে আরতি করছে, সেই সত্য যা সুর্যের উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত সাক্ষীর মতো সমস্ত দেখছে। নব নব নবীনতার সেই জ্ঞানময় সত্য । যার মধ্যে প্রাণের বিরাম নেই, জড়তার লেশ নেই, যার মধ্যে সমস্ত চৈতন্য পরিপূর্ণ। ওরে সংকীর্ণ ঘরের অধিবাসী, ঘরের দরজা ভেঙেচুরে ফেলে দাও । আমরা উৎসবের দেবতাকে দর্শন করে মনুষ্যত্বের জয়তিলক একে নেব, আমরা নুতন বর্ম পরিধান করব। আমাদের সংগ্রাম মৃত্যুর সঙ্গে । নিন্দ অবমাননাকে তুচ্ছ করে অসত্যের সঙ্গে অন্যায়ের সঙ্গে সেই যুদ্ধ করবার অধিকার তিনি দিয়েছেন । এই অভয় বাণী আমরা পেয়েছি— শৃশ্বস্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ আ যে দিব্যানি ধামানি তস্থঃ । এই কথা বলবার দিন আজ এই ভারতবর্ষেরই এসেছে । আজ প্রতাপে মদোন্মত্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে মানুষ বিদ্রোহের ধ্বজ তুলেছে— আমরা যত ছোটাে হই, সেই বল সংগ্রহ করব যাতে তার সম্মুখে দাড়িয়ে বলতে পারি, ‘না, এ নয়। তোমরা দিব্যধামবাসী অমৃতের পুত্র, তোমরা মৃত্যুর পুত্র নও ’ যে ধনমান পায় নি সেই জোরের সঙ্গে বলতে পারে, “আমি সত্যকে পেয়েছি। আমার ঐশ্বর্য নেই, গৌরব নেই, আমার দারিদ্র্য অবমাননার S)8切ア
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৯
অবয়ব