বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্রীর উৎসব সীমা নেই, কিন্তু আমার এমন অধিকার রয়েছে যার থেকে আমাস্ক কেউ বঞ্চিত করতে পারে না। আমাদের আর কিছু নেই বলেই এ কথা আমাদের মুখে যেমন শোনাবে এমন আর কারও মুখে নয় } পৃথিবীর মধ্যে লাঞ্ছিত আমরা, আমরা বলব আমরা অমৃতের পুত্ৰ— এবং আমরাই বলছি যে ‘তোমরাও অমৃতের পুত্র । আজ উৎসবের দিনে এই স্বরটি আমাদের কানে নিয়ে যেতে হবে । আমাদের দেশের অপমান দারিদ্র্য অত্যন্ত স্বচ্ছ, সেইজন্যই সত্য আমাদের কাছে প্রকাশ পেতে বাধা পাবে না, সে একেবারে নগ্ন হয়ে দেখা দেবে। পাথরের হর্ম্য গড়ে তুলে আমরাও আকাশের আলোককে নিরুদ্ধ করব না ; আমাদের নিরাশ্রয় দীনের কণ্ঠে বড়ো মধুর স্বরে বাজবে— শৃশ্বস্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রা: আ যে দিব্যানি ধামানি তস্থঃ । প্রাতঃকাল ১০ মাঘ ১৩২১ যাত্রীর উৎসব এই প্রাঙ্গণের বাইরে বিশ্বের যে মন্দিরে সন্ধ্যাকাশের তারা জলে উঠেছে, যেখানে অনন্ত আকাশের প্রাঙ্গণে সন্ধ্যার শাস্তি পরিব্যাপ্ত, সেই মন্দিরের দ্বারে গিয়ে প্রণাম করতে তো মন কোনো বাধা পায় না। বিশ্বভুবনে ফুলের যে রঙ সহজে পুষ্পকাননে প্রকাশ পেয়েছে, নক্ষত্ৰলোকে যে আলো সহজে জলেছে, এখানে তো সে রঙ লাগা সহজ হয় নি ; এখানে সম্মিলিত চিত্তের আলো তো সহজে জলে নি । \రి8ఫె