শান্তিনিকেতন: তাই একান্তমনে এই কামনাই করছে, ‘আমার সকল প্রেমের মধ্যে সেই একের প্রেমরস বর্ষিত হোক, আমার সব রণধ পূর্ণ হয়ে যাক।’ মাহুষের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধকে পাত্রের মতে ক’রে র্তার প্রেমের: অমৃতে পূর্ণ ক’রে মানুষ পান করতে চায়। অন্তরাত্মার এই কামনা, এই সাধনা, এই ক্ৰন্দন । কিন্তু, আহমের কোলাহলে এ কান্না তার নিজের কানেই পেচচ্ছে না। প্রতিবারেই সে মনে করছে, 'বডড ঠকেছি, আর ঠক নয়। এবার যা চাচ্ছি তাতেই আমার সব অভাব ভরে যাবে।’ হায় রে, সে অভাব কি আর কিছুতে ভরে । এমন মোহান্ধ কেউ নেই। যার আত্মা পরম বিরহে এই বলে কাদছে না ‘প্রিয়তম জাগলেন না । ফুলের মালা টাঙানো হয়েছে, বাতি জালানো হয়েছে, সব আয়োজন পূর্ণ— শুধু তাকে ডাকলুম না, তাকে জাগালুম না। لئے যেখানে তিনি পিতামাতা সেখানে তিনি অন্নপান দিচ্ছেন, প্রাণকে বাচিয়ে রাখছেন । মায়ের ভাণ্ডার তো খোলা রয়েছে— ধরণীর ভোজে মা পরিবেশন করছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে সব দিচ্ছেন । সেখানে কোনো বাধা নেই। কিন্তু, যখন জগতের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করি এত সৌন্দর্য কেন ? এত ফুল ফুটল কেন ? আকাশে এত তারার প্রদীপ জলল কেন ? জীবনে মাঝে মাঝে বসন্তের দক্ষিনে হাওয়া যৌবনের মর্মরধ্বনি জাগিয়ে তোলে কেন ? তখন বুঝি যে, প্রিয়তম জাগলেন ন— তারই জাগার অপেক্ষায় যে এত আয়োজন । । তাই আমি আমার অন্তরাত্মাকে যা কিছু এনে দিচ্ছি সে সব পরিহার করছে ; সে বলছে, “এ নয়, এ নয়, এ নয়! আমি আমার প্রিয়তমকে চাই । আমি তাকে না পেয়েই তো পাপে লুটোচ্ছি, আমি ক্ষুধাতৃষ্ণার এই দাহ লহ করছি, আমি চারি দিকে আমার অশাস্ত প্রবৃত্তি Wy☾bᎮ
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৯
অবয়ব