-- মাধুর্যের পরিচয় নিয়ে দক্ষ্যবৃত্তি করে বেড়াচ্ছি। ধীকে পেলে সব মিলবে তাকে পাওয়া হয় নি বলেই এত আঘাত দিচ্ছি। যদি তাকে-পেতুম, বলতুম আমার হয়ে গেছে— আমার দিনের পর দিন, জীবনের পর জীবন ভরে গেল |’ • *. . . . . . . . . . ; সমস্ত সৌন্দর্ধের মাঝখানে ঘেদিন সেই স্বন্দরকে দেখলুম, সমস্ত মাধুর্যের ভিতরে যেদিন সেই মধুরকে পেলুম, সেদিন আমার মাধুর্বের পরিচয় দেব কিসে? মাধুর্যে বিগলিত হয়ে কী পরিচয় দেব ? না, মাধুর্যের পরিচয় মাধুর্বে নয়, মাধুর্যের পরিচয় বীর্ষে। সেদিন মৃত্যুকে স্বীকার করে পরিচয় দেব । বলব, ‘প্রিয়তম হে, মরব তোমার জন্ত । আমার আর শোক নেই, ক্ষুদ্রতা নেই, ক্ষতি নেই। প্রাণের মায়া আর আমার রইল না। বলো-না তুমি, প্রাণকে তোমার কোন কাজে দিতে হবে । তোমাকে পেলে ধুলোয় লুটিয়ে কেঁদে বেড়াব তা নয়, কেবল মধুর রসের গান করব তা নয় গো । যেদিন বলতে পারব যিনি মধুর পরমমধুর, যিনি স্বন্দর পরমসুন্দর, তিনি আমার প্রিয়তম, তিনি অামায় স্পর্শ করেছেন, সেদিন আনন্দে দুর্গম পথে সমস্ত কণ্টককে পায়ে দলে চলে যাব । সেদিন জানব যে, কর্মে কোনো ক্লাস্তি থাকবে না, ত্যাগে কোথাও কৃপণতা থাকবে না। কোনো বাধাকে বাধা বলে মানব না । মৃত্যু সেদিন সামনে দাড়ালে তাকে বিদ্রুপ করে চলে যাব। সেদিন বুঝব তার সঙ্গে আমার মিলন হয়েছে। মানুষকে সেই মিলন পেতেই হবে। দেখতে হবে দুঃখকে মৃত্যুকে সে ভয় করে না। স্পর্ধা করে বীরত্ব করলে সে বীরত্ব টেকে না— জগৎ-ভরা জানন্দ যেদিন অন্তরে স্বধাম্রোতে বয়ে যাবে সেদিন মানুষের সমস্ত মন্থন্যত্ব সরল হবে, তার কর্ম সহজ হবে, তার ত্যাগ সহজ হবে। সেদিন মাহুষ বীর। \9@岱
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭০
অবয়ব