মাধুর্যের পরিচয় অবিশ্বাস করে। যারা অমৃতের বাণী এনেছেন মানুষ তাই তাদের মেরেছে । তারা যেমন মানুষের হাতে মার খেয়েছেন এমন আর কেউ নয়, অথচ তারা তো মলেন না। তাদের প্রাণই শত সহস্ৰ বৎসর ধরে সজীব হয়ে রইল। কারণ, তারাই যে মার খেতে পারেন ; তারা যে অমৃতের সন্ধান পেয়েছেন। মৃত্যুর দ্বারা তারা অমৃতের প্রমাণ করেন। মানুষের দরজায় এসে দাড়ালে মানুষ তাদের আতিথ্য দেয় নি, আতিথ্য দেবে না— মানুষ তাদের শত্রু বলে জেনেছে । কারণ, আমরা আমাদের যত-কিছু মত বিশ্বাস সমস্ত পাথরে বাধিয়ে রেখে দিয়েছি, ওই-সব পাগলকে ঘরে ঢোকালে সে-সমস্ত যে বিপর্যন্ত হয়ে যাবে— এই মানুষের মন্ত ভয় । মৃত্যুকে কোঁটার মধ্যে পুরে লোহার সিন্দুকে লুকিয়ে রেখে দিয়েছি, ওরা ঘরে এলে কি আর রক্ষা আছে! লোহার সিন্দুক ভেঙে যে মৃত্যুকে এরা বার করবে । সেই মৃত্যুকেই তারা মারতে আসেন। তারা মরে প্রমাণ করেন আছে স্বধা সমস্ত বিশ্বকে পূর্ণ করে। নিঃশেষে পরম আনন্দে সেই স্বধার পাত্র থেকে তারা পান করেন । তারা প্রিয়তমকে জেনেছেন, প্রিয়তম তাদের জীবনে জেগেছেন । আমাদের গানে তাই আমার ডাকছি ; প্রিয়তম হে, জাগো, জাগো, জাগো । কেননা, প্রিয়তম হে, তুমি জাগ নি বলেই মচুন্যত্ববিকাশ হল না, পৌরুষ পরাহত হয়ে রইল। তোমার কণ্ঠের বিজয়মাল্য দাও পরিয়ে তুমি আমাদের কণ্ঠে– জয়ী করে সংগ্রামে। ংসারের যুদ্ধে পরাভূত হতে দিয়ে না— বাচাও, তোমার অমৃতপাত্র আমার মুখে এনে দাও । অপমানের মধ্যে পরাভবের মধ্যে \రితి)
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭২
অবয়ব